আফিফ সাতেই উপযুক্ত, মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ‘দুশ্চিন্তা’ নেই

Afif Hossain & Mahmudullah
ছবি: টুইটার

কদিন আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলের চরম বিপদে হাল ধরেছিলেন আফিফ হোসেন। মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে জিতিয়েছিলেন দলকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও আজ বিপদে দাঁড়িয়ে যান আফিফ। এই তরুণ বাঁহাতির ব্যাটিং পজিশন আরেকটু উপরে হতে পারে কিনা সেই আলাপ থামিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পারফরম্যান্স নিয়েও কোন দুশ্চিন্তা নেই অধিনায়কের মনে।

জোহানেসবার্গে এদিন ৩৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর দলের হাল ধরেন আফিফ-মাহমুদউল্লাহ। ৬ষ্ঠ উইকেটে তাদের জুটিতে আসে ৬০ রান। এই জুটি ভাঙে তাবরাইজ শামসির বলে মাহমুদউল্লাহ ফাঁদে পা দিলে। শামসির বলে ব্যাট লাগিয়ে লেগ স্লিপে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরেন ৪৪ বলে ২৫ রানে।

শেষের ঝড়ের জন্য ছয় নম্বরে নামা মাহমুদউল্লাহ সব শেষ ১০ ম্যাচে ৭০.৪৮ স্ট্রাইকরেট ও ৩০.৭৫ গড়ে করেন ৩৪৯ রান। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে এক ফিফটি। তামিম জানালেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স নিয়ে তাদের কোন সংশয় নেই, 'দেখেন, আমার কাছে মনে হয় রিয়াদ ভাই ওয়ানডে দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ, বিশেষ করে আমার কাছে।'

'রিয়াদ ভাইকে নিয়ে..খুব সোজা কথা- আমি, টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক কেউই  এরকম কিছু (একাদশে জায়গা ) ভাবছে না। তিনি ওয়ানডে দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ।'

সাত নম্বরে নেমে ১০৭ বলে সর্বোচ্চ ৭২ রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এরকম চরম বিপদে ১১৫ বলে করেন অপরাজিত ৯৩। ১২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৪৩.২৫ গড় আর ৯১.০৫ স্ট্রাইকরেটে ৩৪৬ রান আফিফের। এই তরুণকে আরও উপরে খেলানো যায় কিনা এমন প্রশ্ন তামিম জানালেন আফিফ সাতেই বেশি উপযুক্ত,  'আফিফ সাত নম্বরে খুব ভাল ব্যাট করছে। আমি যদি এখন আফিফকে ছয়ে নিয়ে আসি, তাহলে সাতে আরেকজনকে খুঁজতে হবে। তখন কথা হবে সাত নম্বরে কে খেলবে। ছয় সাত মাস আগে আমরা বলতাম যে আমাদের ছয়-সাত নম্বর খুঁজে বের করা দরকার। যে আমাদের ফিনিশ করবে। আমার মনে হয় আফিফ ঠিক লোক এই পজিশনে। যেখানে ও ব্যাট করে ওখানে দুইটা ম্যাচ, তিনটা ম্যাচ ফেইল করতেই পারে। যেদিন ও ভাল খেলবে, ভাল রান করবে আমরা জেতার অবস্থায় চলে যাব। এই কোয়ালিটি তার কাছে। আমি তাকে সাত নম্বরেই ব্যাক করব। কারণ এখানে সে ভাল করছে।'

রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৪ রান করে ৭ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। বুধবার সেঞ্চুরিয়নে হবে সিরিজের ফায়সালা।

Comments