মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ফের চাপে বাংলাদেশ
৩৪ রানেই প্রথম সারির পাঁচ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। এরপর অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন আফিফ হোসেন। তবে তাদের প্রতিরোধ ভেঙেছেন তাবরাইজ শামসি। ফলে ফের বিপদে পড়েছে টাইগাররা।
রোববার জোহানেসবার্গের দ্য ওয়ান্ডারার্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩২ ওভারে ৬ উইকেটে ১১০ রান করেছে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ৪১ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৬ রানে ব্যাটিং করছেন।
এদিন আন্দিল ফেলাকাওয়ায়োর জায়গায় একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন শামসি। আর কেন একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তার প্রমাণ রাখলেন তিনি। মাহমুদউল্লাহকে পরিকল্পনা করেই বিদায় করে জুটি ভেঙেছেন এ স্পিনার।
শামসির লেগস্টাম্পে রাখা বলে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন লেগ স্লিপে। সহজ ক্যাচ ধরে নিতে কোনো ভুল হয়নি ইয়েনেমান মালানের। আউট হওয়ার আগে ২৫ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৪ বলে ৩ চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি।
এর আগে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৬০ রানের জুটি করেন মাহমুদউল্লাহ। ৮৭ বলে এ জুটি গড়েন তারা।
এদিন টাইগার শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দেন লুঙ্গি এনগিডি। অধিনায়ক তামিম ইকবালকে এক্সট্রা বাউন্সের ফাঁদে ফেলেন তিনি। তার বাড়তি বাউন্সারে বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো কেশভ মহারাজের হাতে। ৪ বলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর ঠিক একই ভাবে বিদায় নেন সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলী রাব্বিও। এই তিন ব্যাটারকে ফেরান কাগিসো রাবাডা। সাকিব ক্যাচ দেন কভারে দাঁড়ানো কাইল ভেরেইনার হাতে। ফিরেছেন খালি হাতে। ইয়াসিরের ক্যাচ ধরে কেশভ মহারাজ। ১৪ বলে ২ রান করেন তিনি।
লিটন অবশ্য কিছুটা সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন। দারুণ তিনটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন। আরও একটি মারতে গিয়ে রাবাডার বলে উইকেটরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে আপার কাট করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকভাবে হয়নি। কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের হাতে। ২১ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
দলীয় ৩৪ রানে চার উইকেট হারানোর পর দল তাকিয়ে ছিল মুশফিকের দিকে। শুরু থেকেই বাড়তি বাউন্সে হাঁসফাঁস করছিলেন তিনি। তবে বেশ কয়েকবার ভাগ্য সঙ্গে থাকায় বেঁচে যান। এমনকি স্লিপে ইয়ানেমান মালানের হাতে সহজ জীবনও পেয়েছেন। কিন্তু জীবন কাজে লাগাতে পারেননি। ওয়েন পারনেলের বলে পড়েছেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। ৩১ বলে ১২ রান করেন এ ব্যাটার।
Comments