বিশ্বাসটা নিউজিল্যান্ডে পেয়ে গিয়েছিলেন ইয়াসিররা
যা কোনদিন জয় করা হয়নি, তা একবার করে ফেলা গেলে জন্ম নেয় বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের জোরেই আরও একটু দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়া হয়ে যায়। বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রেও হলো তেমনটা। ইয়াসির আলি রাব্বি জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর বিশ্বাসটা তারা পেয়ে গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডেই।
চলতি বছরের আগে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা ছিল বাংলাদেশের জন্য অজেয়। নিউজিল্যান্ডে দ্বীপাক্ষিক সিরিজে কোন সংস্করণেই আগে মেলেনি জয়ের দেখা। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তো কখনই কোন ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ।
অনভিজ্ঞ এক দল নিয়ে বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড মাত করে মুমিনুল হকের দল। মাউন্ট মাঙ্গানুইতে লাল বলের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় টেস্টে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর ইয়াসির জানালেন, এবারের অর্জনের ভিত তৈরি হয়েছে সেই মাউন্ট মাঙ্গানুইতে, 'যখন থেকে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছি আমরা মাউন্ট মাঙ্গানুইতে, এরপর বাংলাদেশ দলের মধ্যে একটা বিশ্বাস কাজ করা শুরু হয় যে আমরা যেকোনো দলকেই বাইরের দেশে হারাতে পারব। এখানেও ভিন্ন ছিল না। আমরা নিউজিল্যান্ড থেকেই বলছিলাম আমরা যখন সাউথ আফ্রিকা যাব, ওদেরও হারাতে পারব। এটাই আমাদের বিশ্বাস। আমি বলল হ্যাঁ। অবশ্যই ছিল (দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর বিশ্বাস)।'
দলের জয়ে ব্যাট হাতে দারুণ অবদান রাখেন ইয়াসির। ৪৪ বলে তার কাছ থেকে আসে ৫০ রান। সেই ২০১৯ সালে জাতীয় দলের সেটআপে আসার প্রায় দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। প্রথমে টেস্ট, পরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পান।
প্রথম দুই ওয়ানডে ইনিংসে ভাল করতে পারেননি। পাঁচ নম্বর পজিশনে নিজেকে প্রমাণ করার পরীক্ষা ছিল তার। ইয়াসির মনে করছেন ভালো-মন্দের মধ্যে এগুবে জীবন, তবে একটু পোক্ত হয়ে নামতে পারা তার জন্য হয়েছে আশীর্বাদ, 'আলহামদুল্লাহ প্রথমে বলব যে সাউথ আফ্রিকার মাঠে আমরা একটা ম্যাচ জিতলাম। সেখানে আমার অবদান ছিল জেতার পেছনে। যেটা বলতে চাই অনেকদিন ধরেই ছিলাম দলের সঙ্গে (ম্যাচ না খেলে), জিনিসটা আমার জন্য শিক্ষা ছিল। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি ওখান থেকে। জাতীয় দলের পরিবেশটা কেমন থাকে, কীভাবে খেলতে হয়। আমি বলব যে ইট ওয়াজ ব্লেসিং ইন ডিসগাইস ফর মি। এখন থেকে শুরু করেছি। খারাপ ভালর মধ্য দিয়ে যাবে। এটা জীবন।'
Comments