সাকিব-ইয়াসিরের মারমুখী ফিফটি, বড় সংগ্রহের দিকে বাংলাদেশ
ঘরের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে মলিন ছিলেন সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলী রাব্বি। সেই ব্যর্থতা ঝেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মারমুখী হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন তারা। অনেক নাটকীয়তার পর এই সফরে যাওয়া সাকিব ইয়াসিরের সঙ্গে রেকর্ড জুটি গড়ে ফিরলেও বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
সেঞ্চুরিয়নে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪২ ওভারে ৪ উইকেটে ২৪৩ রান। ক্রিজে আছেন ইয়াসির ৪৩ বলে ৫০ ও মাত্রই নামা মাহমুদউল্লাহ ১ বলে ৪ রানে। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাকিব সাজঘরে ফেরেন ৬৪ বলে ৭৭ রানে।
আফগানদের বিপক্ষে তিন ইনিংসে সাকিবের রান ছিল যথাক্রমে ১০, ২০ ও ৩০। তাতে কিছুটা সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন তিনি। তাছাড়া, ক্রিকেট উপভোগ না করার কথা জানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন এই তারকা। পরে নানান নাটকীয়তা শেষে তিনি উড়ে গেছেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। আর প্রথম ম্যাচেই এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার দেখান নিজের সামর্থ্য।
সাকিব ফিফটিতে পৌঁছান ৩৮তম ওভারের শেষ বলে। আন্দিল ফেলুকওয়ায়োকে লং-অফ দিয়ে ছক্কা মেরে মুখোমুখি হওয়া ৫০তম বলে ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। পরে হাত খুলে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। অসাধারণ খেলতে থাকা সাকিবের ইনিংসের ইতি টানেন পেসার লুঙ্গি এনগিডি। নিচু ফুলটস ডেলিভারির লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হয়ে যান সাকিব। এরপর রিভিউ না নিয়ে ছাড়েন মাঠ।
সাকিবকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে তার ওপর দলের রাখা আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন তরুণ ইয়াসির। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ওয়ানডে অভিষেকে ডাক মেরেছিলেন তিনি। আরেক ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে আউট হয়েছিলেন কেবল ১ রানে। সেই বাজে অভিজ্ঞতা পেছনে ফেলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি, মাত্র ৪৩ বলে।
মুশফিকুর রহিম বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে তড়িঘড়ি আউট হওয়ার পর জুটি বাঁধেন সাকিব ও ইয়াসির। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে চতুর্থ উইকেটে তারা যোগ করেন ৮২ বলে ১১৫ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যে কোনো উইকেটে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে কোনো জুটিই ছুঁতে পারেনি শতরান।
Comments