উদ্বোধনী জুটির রেকর্ডের পর তামিম-লিটনের বিদায়
ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, ব্যাটিংয়ে প্রথম ২০ ওভারে ভালো খেলতে হবে। প্রথম ম্যাচে তার প্রত্যাশার প্রতিদান দিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এই সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের জুটির রেকর্ড গড়লেন তারা। কীর্তিতে নাম লেখানোর পর সাজঘরে ফিরলেন অধিনায়ক তামিম। সঙ্গী হারিয়ে টিকলেন না লিটনও।
শুক্রবার সেঞ্চুরিয়নে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১০৪ রান। ক্রিজে আছেন সফরকারীদের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ সাকিব আল হাসান ১১ বলে ৬ রানে ও মুশফিকুর রহিম ০ বলে ০ রানে।
২২তম ওভারে তামিমের বিদায়ে ভাঙে টাইগারদের ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৭ বলে ৪১ রান। সাবধানী শুরুর পর দলকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দিতে তিনি মারেন ৩ চার ও ১ ছক্কা।
তামিমকে এলবিডব্লিউ করে প্রোটিয়াদের গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেন আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো। এই মিডিয়াম পেসারের কিছুটা শর্ট লেন্থের বলে পরাস্ত হন তামিম। যতটা বাউন্স হবে ভেবেছিলেন, ততটা হয়নি। বল নিচু হয়ে গিয়ে লাগে তার পেছনের পায়ের প্যাডে। আম্পায়ার তৎক্ষণাৎ আউটের সিদ্ধান্ত দিতে সংশয়ে ভোগেননি। তামিম অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল গিয়ে লাগত অফ ও মিডল স্টাম্পের মাঝামাঝি। ফলে তামিমের সঙ্গে সঙ্গে একটি রিভিউও হারায় বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটিটি ছিল ৪৬ রানের। ২০০৮ সালে বেনোনিতে সেই জুটিতে তামিমের সঙ্গী ছিলেন ইমরুল কায়েস। আর যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিটি ছিল ৯৩ রানের। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সবশেষ সফরে ২০১৭ সালে পার্লে ওই জুটি গড়েছিলেন ইমরুল ও মুশফিক।
পরের ওভারে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন গত এক বছর ধরে দারুণ ছন্দে থাকা লিটন। টানা তৃতীয় ইনিংসে কমপক্ষে ৫০ করার নজির গড়েন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছে ইনিংস আর লম্বা করতে পারেননি। তামিমের মতো আরেকটি নিচু হওয়া বলে কুপোকাত হন লিটন। বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজের স্টাম্পের বেশ কাছের বল কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। ৬৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় তিনি করেন ঠিক ৫০ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল অতি মন্থর। লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদা, মার্কো ইয়ানসেনদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের বিপরীতে প্রথম পাওয়ার প্লেতে তামিম ও লিটন আনেন কেবল ৩৩ রান। দলীয় পঞ্চাশ পূরণ হয় ১৬তম ওভারের প্রথম বলে। ধীরগতিতে ঘুরতে থাকা রানের চাকা সচল হয় তিন ওভারের ব্যবধানে। মহারাজের টানা তিন বলে ১ ছক্কা ও ২ চার মারেন লিটন। তবে শেষ পর্যন্ত মহারাজের বলেই আউট হন এই ডানহাতি।
Comments