দক্ষিণ আফ্রিকাতেও জেতা সম্ভব: তাসকিন

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে জয় এখনও অধরা। তবে গত নিউজিল্যান্ড সফরে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর আত্মবিশ্বাসের বীজ প্রোথিত হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অন্তরে। তাতে বলীয়ান হয়ে তাসকিন আহমেদ বললেন, এবার প্রোটিয়াদের মাটিতে জেতার স্বপ্ন দেখছেন তারা। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত লক্ষ্যের কথাও জানালেন এই ডানহাতি পেসার।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন তাসকিন। অনুশীলন শেষে সামনে থাকা কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি শুনিয়েছেন আশার কথা, 'চ্যালেঞ্জিং তো হবেই। নিউজিল্যান্ড সিরিজও চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু সেখানে টেস্ট জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিছু কঠিন ম্যাচ জিতেছি। যেহেতু কঠিন কিছু ম্যাচ জিতেছি, এসব আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছে। আমার বিশ্বাস, যদি সেরা খেলাটা খেলতে পারি, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও জেতা সম্ভব।'

গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের নিয়মিত পারফর্মার তাসকিন। বাজে সময় পেছনে ফেলে নিজেকে ঝালাই করে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার চাওয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলকে জেতাতে অবদান রাখা, 'প্রত্যেক সিরিজের আগে যা থাকে (লক্ষ্য), এবারও তা-ই। নিজের শক্তি, দক্ষতার মধ্যে থেকেই সেরাটা দিতে চাই। খুব ইচ্ছা থাকবে যেন ম্যাচ জেতানোর পেছনে আমার অবদান থাকে।'

দক্ষিণ আফ্রিকার গতিময় ও বাউন্সি উইকেট পেসারদের উপযোগী। সেখানে তাদের কাছ থেকে ভালো কিছুর প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশের। তবে নিয়ন্ত্রণ হারালে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখার শঙ্কাও মাথায় রাখছেন তাসকিন, 'ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় ঠিকঠাক স্পোর্টিং উইকেট পাওয়া যায়। এসব জায়গায় বোলার, ব্যাটার- দুজনেরই ভালো করার সুযোগ থাকে। চ্যালেঞ্জও বেশি। কারণ, বাউন্স সমান থাকে, বল দারুণ ক্যারি করে। ভালো জায়গায় বল না করলেন রান হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। সুবিধাও আছে। একই সঙ্গে সেখানে খুব নিয়ন্ত্রিত বোলার হতে হবে।'

২৬ বছর বয়সী এই তারকা জানিয়েছেন, কেবল তিনি একা নন, স্কোয়াডে থাকা ইবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানসহ সব পেসারই উন্নতির চেষ্টা করছেন, 'প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করছি। আমার দুর্বলতাগুলোকে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। নিজের শক্তিকে আরও ধারাল করার চেষ্টা করছি। সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সবাই মিলে আসলে পেস বোলিং ইউনিট। সবার মধ্যে বোঝাপড়া অনেক ভালো। সবাই একসঙ্গে চেষ্টা করছি। আশা করি, রিভার্স সুইং, ডেথ ওভার- এসবেও আমাদের উন্নতি হবে।'

দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন অ্যালেন ডোনাল্ড। তিনি ওই দেশেরই সাবেক কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার। তার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন তাসকিনরা, 'আমরা রোমাঞ্চিত। কারণ, তার মতো একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের অধীনে কোচিং করব। আমাদের দেশি কোচ বা বিদেশি কোচ বলেন, সবার থিওরি প্রায় একই। কিন্তু একেক জনের অভিজ্ঞতা একেক রকম। চেষ্টা করব, তার মতো কিংবদন্তির কাছ থেকে যতটা সম্ভব আদায় করে নিতে।'

তিন ভাগে ভাগ হয়ে এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে যাবে বাংলাদেশ। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ও সন্ধ্যায় যাবে দুটি দল। বাকিরা রওনা হবে পরদিন শনিবার সকালে। সফরে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলবে টাইগাররা।

Comments

The Daily Star  | English

Fakhrul alleges conspiracy to delay polls, urges BNP to resist

"Efforts are being made to create division and pit different state institutions against each other"

24m ago