হতাশা কাটিয়ে আশাবাদী প্রকাশকরা
অনেক টানাপোড়েনের পরে চলছে অমর একুশে বইমেলা। গত দুই বছর প্রায় সব প্রকাশককে গুনতে হয়েছিল লোকসান। তবে এবারের মেলার প্রথম দিন থেকেই পাঠকদের জমজমাট উপস্থিতির কারণে বই বিক্রি বাড়ায় ব্যাপারে আশাবাদী প্রকাশকরা।
শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেখা যায়, শুক্রবারের তুলনায় লোকসমাগম কিছুটা কম হলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি। বিক্রয় কর্মীরা জানান, ধীরে ধীরে বই বিক্রি বাড়ছে। সামনে আরও বাড়বে বলে আশা। এতে আগের লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবেন প্রকাশকরা।
ঐতিহ্য প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক কাজল হোসেন বলেন, 'প্রতিদিনের তুলনায় ছুটির দিনে বিক্রি ভালো। তাছাড়া আমাদের বইগুলো নির্বাচিত। গত বছরের ক্ষতিটা এবার উঠে আসবে বলে আশা রাখি।'
কথাসাহিত্যিক আহমেদ মোস্তফা কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বইমেলায় আজ আমার দ্বিতীয় দিন আসা। বিশাল পরিসরের মেলায় ঘুরছি। তারপর ধীরে ধীরে প্রয়োজন মতো বই সংগ্রহ করব।
রাঙামাটি থেকে বইয়ের টানে ছুটে এসেছেন ফিরোজ হোসাইন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মেলা শেষ পর্যন্ত থাকবেন। প্রতিদিন মেলায় আসেন, নতুন বই দেখেন। পাশাপাশি কবি লেখকদের সঙ্গে পরিচয় হয়ে বইসহ অটোগ্রাফ নেন। এটা তার ভালো লাগে।
আজকের নতুন বইয়ের মধ্যে কথাপ্রকাশ থেকে এসেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সমাজ সংস্কৃতি ও রাজনীতি, সিরাজ সালেকীনের ভাটির দেশের ভাংগালী, বাতিঘর থেকে বাদল সৈয়দের বুড়ো নদীটির পায়ের কাছে, পাঠক সমাবেশ থেকে শাহাদাত পারভেজের ড্যাডি সমগ্র, অন্বেষা প্রকাশনীর মোস্তাক শরীফের আলমপনা, পাঞ্জেরী থেকে আতিউর রহমানের নাই নাই ভয় হবে হবে জয়, মিনার মুনসরের চিরকালের নেতা উল্লেখযোগ্য।
Comments