আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
লিটন দাসের অনবদ্য সেঞ্চুরি আর মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে বাংলাদেশ পেয়েছিল তিনশো ছাড়ানো পুঁজি। তা পেরিয়ে জেতার কোন চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি আফগানিস্তান। বাংলাদেশের সম্মিলিত আক্রমণে ২১৮ রানেই থেমেছে তারা। ৮৮ রানের জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে তামিম ইকবালের দলের।
এই জয়ে ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৬/৪ (তামিম ১২ , লিটন ১৩৬, সাকিব ২০, মুশফিক ৮৬, মাহমুদউল্লাহ ৬* , আফিফ ১৩* ; ফারুকি ১/৫৯ , ফরিদ ২/৫৬ , মুজিব ০/৪৯, ওমরজাই ০/৩৭, রশিদ ১/৫৪, নবি ০/২৬, রহমত ০/১০)
আফগানিস্তান: ৪৫.১ ওভারে ২১৮ (রহমত ৫২, রিয়াজ ১, শহিদি ৫, আজমতুল্লাহ ৯, নাজিবুল্লাহ ৫৪, নবি ৩২ , গুরবাজ ৭, রশিদ ২৯ , মুজিব ৮ , ফরিদ ৬*, ফারুকি ০ ; মোস্তাফিজ ১/৫৩, শরিফুল ১/৪৪, তাসকিন ২/৩১, সাকিব ২/৩৮ , মিরাজ ১/৫২ ১/৫২ মাহমুদউল্লাহ ১/২ , আফিফ ১/০ )
ফল: বাংলাদেশ ৮৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: লিটন দাস।
বল হাতে নিয়েই ইনিংস মুড়ে দিলেন আফিফ
জয় একদম নাগালে দেখে নিয়মিত বোলারদের বাইরে আফিফ হোসেনকে বল দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তার করা প্রথম বলেই শেষ হয়ে যায় খেলা। ফজলহক ফারুকি বোল্ড হয়ে গেলে আফগানরা বাংলাদেশের কাছে হার মানে ৮৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
জয়ের দারুণ ক্যাচে মাহমুদউল্লাহর উইকেট
ম্যাচের উত্তেজনা তখন অনেকটাই হাওয়া। নিয়মিত বোলারদের বিশ্রাম দিতে তাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বল দিলেন তামিম ইকবাল। তিনি এসেই এনে দিলেন উইকেট। অবশ্য কৃতিত্ব পুরোটাই বদলি ফিল্ডার মাহমুদুল হাসান জয়ের। মুজিব উর রহমানের মারা শট বাউন্ডারি লাইনে দারুণ দক্ষতায় ক্যাচ বানান দিনি। ২১৮ রানে নবম উইকেট হারায় আফগানরা। মুজিব ফেরেন ২২ বলে ৮ রান করে।
মোস্তাফিজের বলে রশিদের বিদায়
৪১তম ওভারের প্রথম বলটা কব্জির মোচড়ে দারুণ এক ছক্কা মেরেছিলেন রশিদ খান। মোস্তাফিজুর রহমানকে হতাশ করে পরের বলও কাভার দিয়ে পাঠান বাউন্ডারিতে। শোধ নিতে দেরি করেননি কাটার মাস্টার। তার তৃতীয় বলটি ছিল অনেকটা ঝুলিয়ে দেওয়া কাটার। তাতে বিভ্রান্ত রশিদের স্টাম্প ভেঙে যায়। ২৬ বলে ২৯ রানের ক্যামিও থেমেছে রশিদের। ২০৫ রানে আফগানরা হারিয়েছে ৮ম উইকেট।
মিরাজের বলে মারতে গিয়ে কাবু নবি
আস্কিং রান রেটের চাপ বেড়ে পাহাড়ম। কেবল ক্রিজে পড়ে থাকে লাভ হতো না। মোহাম্মদ নবি তাই ছক্কায় উড়াতে চাইলেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। কিন্তু টাইমিং গড়বড়ে বল আকাশে উঠলে অক্কা তিনি। ৪০ বলে ৩২ করে থামলেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ১৮৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হারের কিনারে সফরকারী আফগানিস্তান।
গুরবাজ বোল্ড সাকিবের বলে
চোট পাওয়া রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ওপেনিং থেকে সরে নেমেছিলেন সাত নম্বরে। তবে তেমন কিছু করতে পারেননি। দ্রুত রান আনার চাহিদায় নেমে ১৫ বলে ৭ রান করে থেমেছে তার ইনিংস। সাকিব আল হাসানের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটে টেনে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ১৫১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে গেছে সফরকারীরা।
নাজিবুল্লাহকেও ফেরালেন তাসকিন
রহমত শাহকে বোল্ড করে ব্রেক থ্রো আনার পর বিপদজনক নাজিবুল্লাহ জাদরানকেও ছাঁটলেন তাসকিন আহমেদ। ফিফটি তুলে দারুণ খেলতে থাকা নাজিবুল্লাহ তাসকিনের বাড়তি বাউন্সের বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। ১৪০ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। ৬১ বলে ৫৪ করে থেমেছেন নাজিবুল্লাহ। ক্রিজে এসেছেন চোটের কারণে ওপেন করতে না পারা রাহামানুল্লাহ গুরবাজ।
নাজিবুল্লাহর ফিফটি
শরিফুল ইসলাম ক্যাচ নিতে পারলে ২৪ রানেই থামতে হতো নাজিবুল্লাহ জাদরানকে। জীবন পেয়ে কাজে লাগালেন তিনি। ৫৬ বলে স্পর্শ করলেন ফিফটি। আগের ম্যাচেও ফিফটি করেছিলেন এই আফগান ব্যাটার।
রহমতকে বোল্ড করে জুটি ভাঙলেন তাসকিন
নাজিবুল্লাহ জাদরানের সঙ্গে রহমত শাহর জুটিটা বিপদজনক দিকে যাচ্ছিল। ওপেন করতে নেমে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন রহমত। ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সে জুটি ভেঙেছেন তাসকিন আহমেদ। ২৫তম ওভার বল করতে এসে রহমতকে বোল্ড করে দেন তাসকিন। ১২৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
রহমত-নাজিবুল্লাহর জুটিতে লড়ছে আফগানিস্তান
৩৪ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর প্রতিরোধ গড়েছেন রহমত শাহ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটিতে এসে গেছে ৮৯ রান, ৬৯ বলে ফিফটি করেছেন রহমত। ২৪ ওভার শেষে আফগানদের রান ৩ উইকেটে ১২৩।
বিভ্রান্তির পর রহমতের রক্ষা
আগের বলেই ক্যাচ ফসকে গিয়েছিল। পরের বলে নাজিবুল্লাহ জাদরানের মারা সোজা শট বোলার অপরপ্রান্তে স্টাম্প ভেঙ্গে দিয়েছিল। তখন ক্রিজের বাইরে ছিলেন রহমত শাহ। বল স্টাম্পে লাগার আগে সাকিবের হাতে লেগেছে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রন্তি। টিভি আম্পায়ার সাকিবের হাতে লেগেছে ভেবে আউটই দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে সুযোগ দিয়ে আরেকবার চেক করার আহবান জানায়। জুম করে দেখা যায় সাকিবের হাতে লাগেনি বল। রক্ষা পান রহমত।
নাজিবুল্লাহকে এবার সহজ জীবন দিলেন শরিফুল
সাকিব আল হাসানের বলে লং অফে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন ২৪ রানে থাকা নাজিবুল্লাহ জাদরান। সহজ সে ক্যাচ রাখতে পারেননি শরিফুল ইসলাম। উলটো হয়ে যায় বাউন্ডারি।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন নাজিবুল্লাহ
মেহেদী হাসান মিরাজের নাজিবুল্লাহ জাদরানকে এলবিডব্লিউর আউট দিয়েছেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। দ্রুত রিভিউ নিয়ে রক্ষা পেয়েছেন তিনি
১৩ ওভারে ৫০ এলো আফগানদের
৩০৭ রান তাড়ায় শুরুতে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া আফগানিস্তানের রানের চাকাও মন্থর। প্রথম ৫০ রান তারা স্পর্শ করেছে ১৩তম ওভারে গিয়ে।
আজমতকে বিদায় করলেন সাকিব
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকে চাপে ছিল আফগানিস্তান। উইকেট হারানোর সঙ্গে রানের চাকাও ছিল মন্থর। রানের চাকায় গতি আনতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের শিকার হয়েছেন আজমতল্লাহ ওমরজাই। সাকিবের বলে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে সহজ স্টাম্পিং হয়েছেন তিনি। ৩৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগানরা।।
আফগান অধিনায়ককে ফেরালেন শরিফুল
তিন নম্বরে নামা আফগানিস্তান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদিকে থিতু হতেই দিলেন না শরিফুল ইসলাম। তার বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি শহিদি। ৩ বলে ৫ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। চতুর্থ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আফগানিস্তান।
আফিফের দারুণ থ্রোতে আফগানদের প্রথম উইকেটের পতন
দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলামের প্রথম বলটা অন সাইডে ঠেলেই রান নিতে ছুটলেন রিয়াজ হাসান। কিন্তু আফিফ হোসেনের ক্ষিপ্রতায় অন্য প্রান্তে পৌঁছা হলো না তার। সরাসরি থ্রোতে আফিফ ভেঙ্গেছেন স্টাম্প। ৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান।
চোটে পড়া গুরবাজের বদলে ওপেনিংয়ে রহমত
কিপিং করার সময় চোট পেয়েছিলেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। এরপর মাঠে ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি, আর ফেরেননি ফিল্ডিংয়ে। ওপেনিংয়েও তাকে দেখা গেল না। ইব্রাহিম জাদরানের বদলে একাদশে আসা ওপেনার রিয়াজ হাসানের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছেন রহমত শাহ।
লিটনের সেঞ্চুরি, মুশফিকের ফিফটিতে বাংলাদেশের ৩০৬
প্রথম ওয়ানডেতে ধসে গিয়েছিল টপ অর্ডার। এবার টপ অর্ডার থেকেই এলো বড় রান। ওপেন করতে নেমে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছেন লিটন দাস। চারে নেমে আগ্রাসী ব্যাট করে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। এই দুজনের ব্যাটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩০৬ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৬/৪ (তামিম ১২ , লিটন ১৩৬, সাকিব ২০, মুশফিক ৮৬, মাহমুদউল্লাহ ৬* , আফিফ ১৩* ; ফারুকি ১/৫৯ , ফরিদ ২/৫৬ , মুজিব ০/৪৯, ওমরজাই ০/৩৭, রশিদ ১/৫৪, নবি ০/২৬, রহমত ০/১০)
বাংলাদেশের তিনশো
টসের সময় তামিম ইকবাল বলেছিলেন ২৬০ রান করলেই সন্তুষ্ট থাকবেন তিনি। তার প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে ৪৯তম ওভারেই তিনশো স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে আফগানদের বিপক্ষে এই প্রথম তিনশো করল বাংলাদেশ।
লিটনের পর মুশফিকেরও বিদায়
সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাসের আউটের পরের বলেই ফিরে গেছেন মুশফিকুর রহিম। ৯৩ বলে ৮৬ রান করে স্লগ করতে গিয়ে ফরিদ আহমেদের শিকার হন তিনিও।
অনবদ্য সেঞ্চুরি করে ফিরলেন লিটন
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করার পর দ্রুত রান বাড়িয়েছেন লিটন দাস। ১২৬ বলে তার ১৩৬ রানের ইনিংস থেমেছে ৪৭তম ওভারে। বাংলাদেশের ওপেনার পঞ্চম সেঞ্চুরির পথে খেলেছেন দারুণ সব শট। ১২৬ বলে তিনি থেমেছেন ১৩৬ রান করে। তার ব্যাট থেকে ১৬ চারের সঙ্গে এসেছে ২ ছক্কা। ফরিদ আহমেদের বলে আরেকটি বাউন্ডারির চেষ্টায় ক্যাচ উঠিয়ে থামেন লিটন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সর্বোচ্চ
ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছিল ২৭৯ রান। ২০১৬ সালে মিরপুরে এসেছিল সেই সংগ্রহ। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সেই সংগ্রহ ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। '
রেকর্ড জুটিতে ২০০
তৃতীয় উইকেত জুটিতে ১৮৮ বলে লিটন-মুশফিক জুটি স্পর্শ করেছে দুইশো রান। তৃতীয় উইকেটে ওয়ানডে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগের জুটিতেও ছিলেন মুশফিক। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিম ইকবালের সঙ্গে ১৭৮ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে মুশফিকের ১৩ হাজার রান
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি- তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিকুর রহিম
অনবদ্য ব্যাটিংয়ে লিটনের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি
রশিদ খান ফ্লাইট দিয়েছিলেন। ৯৬ রানে থাকা লিটন দাস অনেক আগেই পড়ে নিয়েছিলেন বলের ভাষা। সজোরে খেললেন কভারের উপর দিয়ে। বল চলে গেল সীমানার বাইরে। অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ওয়ানডেতে পঞ্চম সেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন লিটন দাস।
জীবন পেলেন লিটন
সেঞ্চুরির সুবাস পাওয়া লিটন দাস বেঁচে গেলেন অল্পের জন্য। অফ স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে তুলেছিলেন সহজ ক্যাচ। কিন্তু শর্ট কভারে থাকা আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি বল হাতে জমাতে পারেননি। তার হাত ফসকে বেরিয়ে যায় ক্যাচ। ব্যক্তিগত ৮৭ রানে জীবন পেলেন লিটন।
২০০ পেরোল বাংলাদেশ
রশিদ খানের করা ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি ছিল অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে। কাট করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে ঠেলে দিলেন লিটন দাস। ডিপ পয়েন্ট থেকে দৌড়ে আসা ফিল্ডার ঝাঁপিয়ে পড়লেও পারলেন না বল সীমানার বাইরে যাওয়া থেকে রুখতে। বাউন্ডারি দিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ স্পর্শ করল দুইশ। লিটনের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম ইতোমধ্যে একটি অর্জনে পেরিয়ে গেছেন সাকিব আল হাসানকে। ওয়ানডেতে মুশফিক এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
লিটনের পর মুশফিকের ফিফটি
লিটন দাসের পর ফিফটি পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। চার নম্বরে নেমে শুরু থেকেই তার ব্যাট ছিল স্বচ্ছন্দ। রশিদ খানকে ৪ মেরে ৫৫ বলেই স্পর্শ করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪১তম ফিফটি। তার ফিফটির সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে লিটন-মুশফিক জুটিতেও এসে গেছে শতরান। ৩৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৯০। ৫৯ বলে ৫৫ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক। ৮৪ বলে ৭২ রানে ক্রিজে আছেন লিটন।
লিটনের ফিফটি, এগুচ্ছে বাংলাদেশ
প্রথম ওয়ানডেতে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই ছন্দে থাকার প্রমাণ দিলেন লিটন দাস। শুরু থেকে সাবলীল খেলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। ৬৫ বলে মোহাম্মদ নবিকে বাউন্ডারি মেরে ওয়ানডেতে চতুর্থ ফিফটিতে পৌঁছান লিটন। ২৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ১৩২। ৬৬ বলে ৫৪ রানে খেলছেন লিটন, ২৪ বলে ২০ রান নিয়ে ক্রিজে মুশফিকুর রহিম। দুজনের জুটিতেও এসে গেছে ৫০ রান।
বাংলাদেশের ১০০
২০তম ওভারে রশিদ খানকে চার মেরে দলের রান তিন অঙ্কে নিয়ে গেছেন লিটন দাস। লিটন অপরাজিত ৩৫ রানে, মুশফিকুর রহিম খেলছেন ১০ রান নিয়ে। ২০ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১০২।
সাকিবের বিদায়
তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পর লিটন দাসের সঙ্গে বেশ জুতসই এক জুটি পেয়ে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তাদের জুটি পঞ্চাশ স্পর্শ করার দিকে যেতেই রশিদ খানের আঘাত। রশিদের গুগলিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হয়েছেন বাংলাদেশের শীর্ষ তারকা। এতে ভেঙ্গে গেছে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটি। ৮৩ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে দ্বিতীয় উইকেট। ৩৬ বল খেলে সাকিব করেন ২০ রান।
বাংলাদেশের ৫০
তামিম ইকবালকে হারালো নবম ওভারে ৫০ স্পর্শ করেছে বাংলাদেশের ইনিংস। ক্রিজে আছেন লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান।
আবারও ফারুকির বলে ফিরলেন তামিম
আগে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের সঙ্গে ভালো শুরুর পথে ছিলেন তামিম ইকবাল। প্রথম ছয় ওভার কাটিয়ে দেওয়ার পর বিপর্যয়। আগের ম্যাচে যেভাবে আউট হয়েছিল এবারও ঠিক সেটারই যেন রিপ্লে। বাঁহাতি পেসার ফজল হক ফারুকির ভেতরে ঢুকা বল এক পা সামনে খেলতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি। তার পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে রক্ষা হয়নি বাংলাদেশ অধিয়ানায়কের। ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারালো স্বাগতিকরা।
রিভিউ হারালো আফগানিস্তান
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফজল হক ফারুকির বলটা অনসাইডে ঠেলে এক রান নিলেন লিটন দাস। আফগানদের এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিলেন না আম্পায়ার। সফরকারীরা রিভিউ নিলে দেখা গেল বল লিটনের পায়ে লাগলেও পিচড করেছে লেগ স্টাম্পের বাইরে। বাজে রিভিউ নিয়ে হতাশায় পুড়ল আফগানিস্তান।
প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে রান তাড়া করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এবার টস জিতেছেন তামিম ইকাবলই। আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদি জানান, টস জিতলেও তারা আগে বল করার সিদ্ধান্তই নিতেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একাদশে কোন বদল আনেনি বাংলাদেশ। নিজেদের একাদশে তিনটি বদল এনেছে আফগানিস্তান।
ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের জায়গায় একাদশে এসেছেন রিয়াজ হাসান। গুলাবদিন নাইবকে বাদ দিয়ে ফরিদ আহমদকে নিয়েছে আফগানরা। পেসার ইয়ামিন আহমেদজাইর বদলে এসেছেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই।
আগে ব্যাট করে অন্তত ২৬০ রান করে ম্যাচ জেতার আশা বাংলাদেশ অধিনায়কের। তবে টস জিতলে তারা আগে বল করার সিদ্ধান্তই নিতেন। তার মতে উইকেট পরের দিকে ব্যাট করার জন্য বেশি সহায়ক হয়, তাতে রান তাড়া করা হবে সহজ। প্রথম ম্যাচে ২১৬ রান তাড়ায় ৪৫ রানে ৫ উইকেট পড়ার পরও আফিফ হোসেন-মেহেদী হাসান মিরাজের অবিচ্ছিন্ন ১৭৪ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শহিদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, ফরিদ আহমেদ, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, ফজল হক ফারুকি।
সিরিজ নিশ্চিতের সামনে ফুরফুরে বাংলাদেশ
খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য এক জয় ধরা দিয়েছে। হতাশার অন্ধকার থেকে মিলেছে আনন্দে ভাসার উপলক্ষ। ঘরের মাঠে এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে তামিম ইকবালের দলে। ওয়ানডে সুপার লিগেও শীর্ষে উঠার হাতছানি থাকছে।
আফগানিস্তানের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই
প্রথম ম্যাচে এক পর্যায়ে ম্যাচ ছিল তাদেরই মুঠোয়। আফিফ হোসেন-মেহেদী হাসান মিরাজের বীরত্বে আফগানদের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করে নেয় বাংলাদেশ। এগিয়ে যায় সিরিজেও। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে তাই আফগানদের সামনে সিরিজ বাঁচানোর মিশন।
Comments