পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও ১ মামলা

পি কে হালদার
পি কে হালদার। ছবি: সংগৃহীত

নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের প্রায় ৩৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের সহকারী পরিচালক রকিবুল হায়াত ঢাকায় কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

পলাতক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে এ নিয়ে মোট দুর্নীতি মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ২৮টি।

নতুন এ মামলার অপর আসামিরা হলেন-ন্যাচার এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মমতাজ বেগম, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের পরিচালক নওশেরুল ইসলাম, এফএএস ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক পরিচালক আবুল শাহজাহান, উদ্দব মল্লিক, প্রদীপ কুমার নন্দী, অঞ্জন কুমার রায়, আতাহারুল ইসলাম, কাজী মাহজাবিন মমতাজ, মাহফুজা রহমান বেবি, সোমা ঘোষ, সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসনিয়া তাহসিন রোজালিন, সিনিয়র অফিসার মৌসুমী পাল, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল হক গাজী, ব্যবস্থাপক আহসান রাকিব, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রাণ গৌরাঙ্গ রায়, জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান আকন্দ ও মীর ইমাদুল হক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা একে অপরের যোগসাজশে এফএএস ফাইন্যান্স থেকে ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের জন্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ঋণ নেন।

অনুসন্ধানে দুদক দেখতে পায় ন্যাচার এন্টারপ্রাইজের কোনো অস্তিত্ব নেই এর সব নথিপত্র ভুয়া।

ওই নামে নেওয়া ঋণের ৪৫ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৩৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয় এবং সেই টাকা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুদক এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়।

গত সপ্তাহে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের প্রায় ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পলাতক পি কে হালদারসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা করে দুদক।

এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।

কমিশন এফএএস ফাইন্যান্সের প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের তদন্ত করছে এবং এ পর্যন্ত ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

Talks with IMF: Consensus likely on exchange rate, revenue issues

The fourth tranche of the instalment was deferred due to disagreements and now talks are going on to release two tranches at once.

11h ago