সাত নম্বরেই থাকছেন আফিফ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ঘরোয়া ক্রিকেটে টপ অর্ডারেই খেলেন আফিফ হোসেন। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলে জায়গাটা তার সাত নম্বরে। তাই নিজেকে চেনানোর সুযোগ মেলে খুব কমই। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পেলেন সেই সুযোগ। সাতে নামলেও সময় পেলেন বিস্তর। কার্যত ম্যাচের ওই সময়ে টপ অর্ডার বা সর্বোচ্চ মিডল অর্ডার ব্যাটারদেরই ক্রিজে থাকার কথা। চাপের মুখে আফিফ খেললেন চোখ ধাঁধানো ইনিংস। তাতে প্রশ্ন উঠেছে, আরও উপরে কেন ব্যাটিংয়ে নয় এ তরুণ?

টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত হলেও ওয়ানডে দলে এখনও জায়গাটা পাকা নয় ২২ বছর বয়সী আফিফের। আগের দিন খেলতে নামেন নিজের অষ্টম ম্যাচ। বয়স আর অনভিজ্ঞতার সামান্য প্রভাবও পড়তে দেননি ব্যাটিংয়ে। চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় একজন পরিণত ব্যাটারের মতো ব্যাটিং করেন। ঠাণ্ডা মাথায় দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়ে তবেই থামেন। অথচ আগের ব্যাটাররা যেভাবে আউট হন, তাতে মনে হয়েছিল, অমন উইকেটে ব্যাটিং করা যেন ভীষণ দুরূহ একটি ব্যাপার।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিব্রতকর এক পরিস্থিতির সামনেই ছিল টাইগাররা। ৪৫ রানে হারিয়ে বসেছিল প্রথম সারির ৬ উইকেট। পরাজয়কেই তখন মনে হচ্ছিল রূঢ় বাস্তবতা। সেখান থেকে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন আফিফ। ইনিংস মেরামত করেন। মেটান পরিস্থিতির দাবি। ঝুঁকিহীন শট খেলে সচল রাখেন রানের চাকা। তাতে আফগানদের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে আফিফের ব্যাটিং পজিশন প্রসঙ্গ। অবশ্য তাকে সাতেই খেলাতে চান তিনি, 'আমাদের টপ অর্ডারে একজন উইকেটরক্ষক ও একজন ফ্রন্ট লাইন স্পিনার আছে। তাই আফিফের জন্য সাত নম্বর পারফেক্ট। সে ম্যাচ শেষ করে আসায় পারদর্শী। নতুন বলে তাকে আরও কাজ করতে হবে, এটা সে-ও জানে। তাই তাকে এখন ওপরে ওঠানো ঠিক হবে না। তার খেলার যে ধরন, তাতে সাত নম্বর পজিশনই এখন মানানসই। নিকট ভবিষ্যতে তাকে ওপরে খেলানো হবে না।'

টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আপাতত কোনো পরিবর্তন না আনার কথাই স্পষ্ট করে বলেন ডমিঙ্গো, '(টপ অর্ডারকে) ভালো করতেই হবে, তাতে সন্দেহ নেই। তামিম, মুশফিক, রিয়াদ, সাকিবকে নিয়ে কোয়ালিটি টপ অর্ডার আছে আমাদের। লিটনও আছে। হাই কোয়ালিটি ব্যাটিং লাইনআপ আমাদের। ছেলেরা অনেকদিন টি-টোয়েন্টি খেলার পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরেছে। গতকালের পারফরম্যান্সে তারা নিজেরাও হতাশ। কাল (শুক্রবার) আরও অনেক ভালো পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

High inflation, costly loans force firms to cut spending

Some manufacturers say they are now opting to reduce office utility consumption, optimise office supplies, minimise bank dependence, and find alternative funding sources.

13h ago