সিডন্স হয়তো খেলোয়াড়দের আমার থেকে বেশি চেনেন: ডমিঙ্গো
ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে জেমি সিডন্স বাংলাদেশের আসার কদিন পরই পদত্যাগ করেন জাতীয় দলের আগের ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স। তিনি ছিলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর ঘনিষ্ঠ। জাতীয় দলে তাই সিডন্সের সঙ্গে ডমিঙ্গোর বোঝাপড়া কেমন হবে তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে ডমিঙ্গো আপাতত দিলেন তাদের ভালো সম্পর্কের আভাস।
২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান কোচ ছিলেন সিডন্স। এবার তাকে আনা হয়েছে ব্যাটিং পরামর্শ হিসেবে। শুরুতে ডেভলপমেন্ট পর্যায়ে কাজ করার কথা থাকলেও প্রিন্স চলে যাওয়ায় সিডন্সের ঠিকানা জাতীয় দলই।
গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকান ডমিঙ্গোর সঙ্গে প্রথম দেখা অস্ট্রেলিয়ান সিডন্সের। দুই কোচ একান্তে কথাও বলেন অনেকক্ষণ।
প্রথম ওয়ানডেতে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় পাওয়ার পর বাংলাদেশ দল আছে ফুরফুরে মেজাজে। বৃহস্পতিবার ঐচ্ছিক অনুশীলন শেষে কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে মাঠে নিবিড়ভাবে কাজ করেন সিডন্স-ডমিঙ্গো। এদিনও আলাদাভাবে কথা বলতে দেখা গেছে তাদের।
পরে গণমাধ্যমের সামনে হাজির হলে সিডন্স বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় ডমিঙ্গোর কাছে। তিনি জানালেন, সিডন্সের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হবে দল, 'দেখুন, তিনি অনেক অভিজ্ঞ এক কোচ। বিশ্বজুড়ে কোচিং করিয়েছেন। এখানকার সিস্টেম তিনি জানেন, অনেক খেলোয়াড়কে চেনেন। হয়তো আমার চেয়েও ভালো জানেন। কারণ, আগেও তিনি এখানে ছিলেন। তাই তাকে পেয়ে ভালো লাগছে। কোচিং স্টাফে তিনি অনেক অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।'
সিডন্সকে ফের বাংলাদেশে নিয়ে আসার পেছনে কাজ করেছেন দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররাই। সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালদের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের কোচ ছিলেন তিনি। প্রধান কোচ হিসেবে সুনাম বেশি না থাকলেও ব্যাটিং কোচ হিসেবে তার প্রশংসা করে আসছেন সিনিয়ররা। তাদের পরামর্শেই ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে এক যুগ পর ফিরিয়ে আনা হয়েছে সিডন্সকে।
প্রধান কোচ ডমিঙ্গোর সঙ্গে সিডন্সের বোঝাপড়া সুন্দর হলে তার সুফল পেতে পারে বাংলাদেশ দল।
Comments