বইমেলায় ছুটির দিনে ভিড় বেড়েছে
লেখক ও পাঠকের আনাগোনায় আজ শুক্রবার মুখর ছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি দুই জায়গায় মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে পছন্দের বই কিনতে স্টলে ভিড় করেন বইপ্রেমীরা। স্টল কর্মীরা জানান, শুরু থেকে মেলায় পাঠকদের আনাগোনা যথেষ্ট থাকলেও, আজ ছুটির দিন বলে ভিড় বেড়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বয়োজ্যেষ্ঠদের তুলনায় তরুণ পাঠকদের বেশি দেখা গেছে। মা-বাবার হাত ধরে মেলায় এসেছিল অনেক শিশু। মেলায় সব বইয়ে লিখিত মূল্যে ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ায় স্টলগুলো মুখর থাকছে বলে জানান অনেকে।
পছন্দের বই কিনতে ময়মনসিংহ থেকে মেলায় এসেছিলেন স্কুল শিক্ষক অহনা নাসরিন। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'এক সপ্তাহের জন্য ঢাকায় এসেছি। মেলার পরিবেশ অনেক ভালো লাগছে। বই কেনার পাশাপাশি গুণী লেখকদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে মেলায় আসি।'
শুক্রবার মেলায় নতুন ৩৫টি বই এসেছে। এর মধ্যে প্রথমা প্রকাশনী থেকে আকবর আলী খানের আত্মজীবনী পুরনো সেই দিনের কথা, ইত্যাদি থেকে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের সর্বশেষ উপন্যাস তরলাবালা, আদর্শ থেকে প্রাবন্ধিক মোর্শেদ শফিউল হাসানের আত্মপক্ষ ও অনন্যা গল্প, আনোয়ারা সৈয়দ হকের শেখ রাসেলের গল্প, আশরাফ জুয়েলের পাখিরোষ উল্লেখযোগ্য।
খুদে পাঠক ও লেখক অলীন বাসার মেলায় এসেছিল বাবার হাত ধরে। ১৪ বছর বয়সী অলীন অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মেলায় তার লেখা নতুন বইসহ মোট প্রকাশিত হয়েছে ১১টি বিভিন্ন বিষয়ের বই।
মেলা প্রসঙ্গে অলীনের বক্তব্য, 'বইমেলা আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রতি বছর মেলায় আসি। অনেক মানুষের মধ্যে নিজের কাজগুলো পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সুযোগ পাই।'
লিটল ম্যাগাজিন প্রাঙ্গণে দেখা হয় কলাম লেখক অধ্যাপক শহীদ ইকবালের সঙ্গে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এবারের মেলার পরিবেশ বেশ সুন্দর। করোনা জটিলতার মধ্যে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে এ আয়োজনে। আশা রাখি লেখক পাঠকের পাশাপাশি প্রকাশকরা উপকৃত হবেন।'
ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক আদিত্য অন্তর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছুটির দিনে মানুষের ভিড় দেখে ভালো লাগছে। আমরাও আশাবাদী এবারের মেলা নিয়ে।'
তবে মেলায় আগতদের অনেকে অভিযোগ করেছেন যে মেলায় পছন্দের স্টল খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে।
স্টল বিন্যাস আরও পরিকল্পনা মাফিক হলে এবং বিভিন্ন মোড়ে ম্যাপযুক্ত বিলবোর্ড থাকলে সুবিধা হতো বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
Comments