বিপিএলের সেরা সাকিব, এই নিয়ে চারবার
ফাইনালে আলো ছড়াতে পারেননি বাংলাদেশের শীর্ষ তারকা সাকিব আল হাসান। বল হাতে ৩০ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করতে পারেন কেবল ৭ রান। তার বিবর্ণ দিনে রোমাঞ্চকর ফাইনালে ১ রানে হেরেছে ফরচুন বরিশাল। তবে এবারের বিপিএলে সব মিলিয়ে যে নজরকাড়া নৈপুণ্য তিনি দেখিয়েছেন, তাতে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়া একরকম অবধারিতই ছিল তার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে শিরোপা হারালেও এই পুরস্কারটি তিনি জিতে নিয়েছেন প্রত্যাশিতভাবে।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শেষ বলে ফয়সালা হয়েছে বিপিএলের নাটকীয় ফাইনালের। এরপর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে সাকিবের হাতে। প্রতিযোগিতার আট আসরে এই নিয়ে চারবার সেরা হয়েছেন তিনি। তার ধারকাছে নেই আর কেউ। পুরস্কার হিসেবে অবশ্য খুব বড় কোনো কিছু পাননি তিনি। তাকে দেওয়া হয়েছে দুই হাজার ডলার।
এবারের বিপিএলে ১১ ম্যাচে ২৮.৪০ গড়ে ও ১৪৪.১৬ স্ট্রাইক রেটে ২৮৪ রান করেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি আছেন ষষ্ঠ স্থানে। ঘূর্ণি জাদু দেখিয়ে এই বাঁহাতি ১৪.৫৬ গড়ে ও ৫.৩৫ ইকোনমিতে নেন ১৬ উইকেট। আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। কেবল তা-ই নয়, স্পিনারদের মধ্যে তার উইকেটের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়ার পথে টানা পাঁচবার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে অনন্য রেকর্ডও গড়েন তিনি।
আগের তিনবার বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বড় বড় পুরস্কার জিতেছিলেন সাকিব। প্রথম দুই আসরে সবাইকে ছাপিয়ে যাওয়ায় দুটি গাড়ি পেয়েছিলেন তিনি। কয়েক আসর বিরতি দিয়ে ২০১৯ সালে ফের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান তিনি। সেবার আর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি একটি মোটরসাইকেলও পেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।
বিপিএলের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট:
খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস- সাকিব আল হাসান (২৮০ রান ও ১৫ উইকেট)
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স- সাকিব আল হাসান (৩২৯ রান ও ১৫ উইকেট)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- আসহার জাইদি (২১৫ রান ও ১৭ উইকেট)
খুলনা টাইটান্স- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩৯৬ রান ও ১০ উইকেট)
রংপুর রাইডার্স- ক্রিস গেইল (৪৮৫ রান)
ঢাকা ডায়নামাইটস- সাকিব আল হাসান (৩০১ রান ও ২৩ উইকেট)
রাজশাহী রয়্যালস- আন্দ্রে রাসেল (২২৫ রান ও ১৪ উইকেট)
ফরচুন বরিশাল- সাকিব আল হাসান (২৮৪ রান ও ১৬ উইকেট)।
Comments