এক ডজনেরও বেশি দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সেনা মোতায়েন করেছে। ছবি: রয়টার্স

এক ডজনেরও বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইসরায়েল অন্যতম। মস্কো ইউক্রেনের সীমান্তে আনুমানিক এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে। কিন্তু, তারা ইউক্রেনে আক্রমণের পরিকল্পনার কথা শুরু থেকে অস্বীকার করে আসছে।

এদিকে, শনিবার এক ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারও রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করেছেন, ইউক্রেনে যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের কঠিন জবার দেওয়া হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, আগ্রাসনের সতর্কবার্তা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। পশ্চিমা শক্তিগুলোর কাছে যদি আসন্ন আগ্রাসনের কোনো শক্ত প্রমাণ থাকে। তাহলে সেগুলো তুলে ধরুন। আমি মনে করি মিডিয়াতে অনেক বেশি তথ্য আছে। যদি কারো কাছে ইউক্রেনে রাশিয়ান ফেডারেশনের আক্রমণ নিয়ে শতভাগ নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকে... দয়া করে আমাদের জানান।

হোয়াইট হাউস সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইউক্রেনে যে কোনো সময় রাশিয়ার হামলা হতে পারে এবং আকাশ থেকে বোমা বর্ষণ শুরু হতে পারে। তবে, রাশিয়া এ ধরনের অভিযোগকে 'উসকানিমূলক জল্পনা' হিসেবে অভিহিত করেছে।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস থেকে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন কর্মীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং কনস্যুলার পরিষেবা রোববার থেকে স্থগিত করা হবে। কিন্তু, 'জরুরি অবস্থা মোকাবিলায়' পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে 'একটি ছোট কনস্যুলার' থাকবে।

কানাডার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কানাডা তার দূতাবাসের কর্মীদের পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে লভিভে সরিয়ে নিচ্ছে।

ইউক্রেনে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত মেলিন্ডা সিমন্স এক টুইট বার্তায় বলেছেন, তিনি ও একটি 'কোর টিম' কিয়েভে অবস্থান করছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৫০ জন সেনা সরিয়ে নিয়েছে, যারা ইউক্রেনের সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল।

ডাচ মিডিয়া জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডস বিমান সংস্থা কেএলএম ঘোষণা দিয়েছে তারা ইউক্রেনে ফ্লাইট বন্ধ করবে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ইসরায়েলের এক ভ্রমণ সতর্কতায় বলা হয়েছে, উত্তেজনা ও উদ্বেগের পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলি নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

5h ago