শিক্ষামন্ত্রী সিলেটে, বিকেলে যাবেন শাবিপ্রবিতে

সিলেট পৌঁছেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে সিলেট পৌঁছেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে বিমানযোগে তারা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় তাদেরকে বরণ করেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

পরে মোটরযোগে সিলেট সার্কিট হাউজে যান শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। সফরসূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টায় সার্কিট হাউজে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মন্ত্রী।

মন্ত্রীর একান্ত সচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন সাক্ষরিত সফরসূচি অনুযায়ী, বিকেল সাড়ে ৩টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাবেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন তিনি।

গত ১৩ জানুয়ারি শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে ১৬ জানুয়ারি পুলিশী অ্যাকশনের পর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির আন্দোলনে পরিণত হয়।

এরপর ১৯ জানুয়ারি থেকে ২৪ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করলে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।

সে বৈঠকে কোনো সুফল না আসার পর ২৬ জানুয়ারি সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনুরোধে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার বিষয়ে আশ্বস্ত করে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হক।

অনশন ভাঙলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫টি দাবি পেশ করেন।

এসব দাবির মধ্যে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ এবং গতকাল প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবিরকে অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তবে দাবির তালিকায় থাকা বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের কথা থাকলেও তা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে আটককৃত ৫ সাবেক শিক্ষার্থী ২৭ জানুয়ারি জামিন পেয়েছেন।

এ ছাড়াও, পুলিশী হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থী সজল কুণ্ডুকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের বন্ধ করে দেওয়া মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরগুলোর মধ্যে মাত্র ৫টি খুলে দেওয়া হয়েছে।

আন্দোলনের এতদিনেও উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় এবং অনশন ভাঙার পর শিক্ষামন্ত্রী আলোচনার জন্য শাবিপ্রবিতে আসার আমন্ত্রণ জানানোর এতদিন পরেও কোনো উত্তর না আসায় গত বুধবার থেকে আবারো কঠোর কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বিকেলে মিছিল এবং রক্তাক্ত হস্তছাপসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষামন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে সিলেটে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের জানান। পরে রাতে শিক্ষামন্ত্রীর একদিনের সফরসূচি চূড়ান্ত করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Make right to vote a fundamental right

The Constitutional Reform Commission proposes voting to be recognised as a fundamental right, so that people can seek legal remedies if it is violated.

14h ago