বেসরকারি ব্যাংকে সর্বনিম্ন বেতন বেঁধে দেওয়া কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন বেতন বেঁধে দেওয়া সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
সর্বনিম্ন বেতন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ফরহাদ বিন হোসেনের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই রুল জারি করেন।
হাইকোর্ট এ ব্যাপারে চার জন জ্যেষ্ঠ আইনজ্ঞের মতামতও চেয়েছেন। অ্যামিকাস কিউরিদেরকে (আদালতের বন্ধু) ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
অ্যামিকাস কিউরিরা হলেন—অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, আজমল হোসেন, কিউসি, রোকনুদ্দিন মাহমুদ ও প্রবীর নিয়োগী। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ট্রেইনি সহকারী কর্মকর্তা (জেনারেল ও ক্যাশ), সহকারী কর্মকর্তাদের শিক্ষানবিশকালে সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা হবে ২৮ হাজার টাকা। আর শিক্ষানবিশকাল শেষ হলে বেতন-ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইওর সঙ্গে সর্বনিম্ন পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতার পার্থক্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।
পরে ১ ফেব্রুয়ারি সর্বনিম্ন বেতন সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনায় ব্যাংকের জেনারেল (সাধারণ) শাখার কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন ৩৯ হাজার এবং ক্যাশ শাখার কর্মকর্তাদের সর্বনিম্ন ৩৬ হাজার টাকা বেতন দিতে বলা হয়। শিক্ষানবিশকালে তাদের বেতন যথাক্রমে ২৮ হাজার ও ২৬ হাজার টাকার কম হতে পারবে না।
Comments