ডায়ালাইসিস বন্ধ, ঢাকা ও চট্টগ্রামে রোগীর স্বজনের অবরোধ-বিক্ষোভ

ছবি: প্রবীর দাস/স্টার

বকেয়া পাওনা অর্থ পরিশোধের দাবিতে ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেওয়ায় রাজধানীর জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের সামনে মিরপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রোগীদের স্বজনরা।

আজ বুধবার সকালে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করছি, দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।'

ডা. মিজান জানান, কিছু জরুরি হাসপাতাল থেকে ডায়ালাইসিস দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে তো দেওয়া সম্ভব না। কিছু রোগী সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেন্ডোরের সঙ্গে আমরা সমঝোতার চেষ্টা করছি। প্রতি মাসে আমাদের প্রায় ৬০০ সেশন হয়। প্রতি সেশনে ৫০ জনকে ডায়ালাইসিস করা হয়। সেন্ডোর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, তারা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তারা আমাদের কেউ না, আমাদের নিয়ন্ত্রণেও না।

ঢাকা ছাড়াও সকাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই কার্যক্রম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে চলে। তাদের কিছু বকেয়া পাওনা রয়েছে। তাদের সেসব পাওনা পরিশোধ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারা মেনে নিয়ে কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ সকালে তারা ডায়ালাইসিস বন্ধ করে চলে গেছেন।'

রোগীর স্বজনরা বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করাতে খরচ হয় কমপক্ষে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা। এখানে আমরা মাত্র ৫০০ টাকায় ডায়ালাইসিস করাতে পারি। অনেকে আছেন যাদের সপ্তাহে ২ বার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করানো আমাদের পক্ষ সম্ভব না।

২০১৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হেমোডায়ালাইসিস সেন্টার চলছে স্যান্ডর মেডিকেডসের ব্যবস্থাপনায়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানিটি ৩১টি মেশিন স্থাপন করে এবং রোগীরা প্রতিবার ডায়ালাইসিসের জন্য ৪৮৬ টাকা পরিশোধ করতেন। আর রোগীর প্রতিবার ডায়ালাইসিসের জন্য সরকারের ভর্তুকি হিসেবে ২ হাজার ১৮০ টাকা দেওয়ার কথা।

চুক্তি অনুসারে, সংস্থাটির ১০ বছর পর এই কেন্দ্রটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে কেন্দ্রটিতে প্রতিদিন ১০০টিরও বেশি ডায়ালাইসিস করা হয়।

যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, তার জানা মতে সরকারের কাছে প্রতিষ্ঠানটির পাওনা ৪ কোটি টাকা।

Comments

The Daily Star  | English
Election in Bangladesh

Election in first half of ’26 is not unreasonable, but Dec ’25 is doable

Whatever the differing stances of various political parties may be, people in general would prefer to exercise their franchise.

13h ago