‘আগামী ৫০ বছরেও একসঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ’

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে  নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ফটো/পিআইডি

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পাঠানো এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সে দেশের জনগণকে 'উষ্ণ শুভেচ্ছা' জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'আগামী পঞ্চাশ বছর ও তার পরেও আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ অঞ্চল গড়ে তোলার যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।'

আজ বুধবার মোদিকে লেখা চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেন, 'সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের ২ দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও বিশ্বাসের অনন্য সম্পর্ক বিকাশ লাভ করেছে এবং আরও শক্তিশালী হয়েছে। বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির সময় সব ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রগুলোর পাশাপাশি সহযোগিতার অনেক নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা গেছে।'

দ্য ডেইলি স্টারের নয়াদিল্লি প্রতিনিধি জানান, চিঠিতে ২০২১ সালকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক বছর হিসেবে উল্ল্যেখ করেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তিতে যোগ দিতে গত বছরের মার্চ মাসে মোদির ঢাকা সফরের কথা ধন্যবাদের সঙ্গে স্মরণ করেন।

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, 'ওই অনুষ্ঠানে আপনার (নরেন্দ্র মোদি) সদয় উপস্থিতি আমাদের উদযাপনে বাড়তি উৎসাহ যোগ করেছে এবং আমাদের চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুসংহত করার পথ প্রশস্ত করেছে।'

চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও সে দেশের জনগণের দেওয়া সমর্থনের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এই সমর্থন ভারত-বাংলাদেশের 'অনন্য সম্পর্কের' ভিত্তি তৈরি করেছিল।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, একাত্তরে যেদিন ভারত বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেই ৬ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে অনুষ্ঠিত 'মৈত্রী দিবস'-এর যৌথ উদযাপনে এই বিশেষ সম্পর্কের বিষয়টি প্রতিভাত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

9h ago