‘অনশন ভাঙার সময় শাবিপ্রবির কোনো শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ১৬৩ ঘণ্টা পরে অনশন ভেঙেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকালে সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও প্রথিতযশা লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙেন।

সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক এবং শিক্ষক সমিতির কেউ উপস্থিত ছিলেন না উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী হাসান সাজিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শিক্ষক বা শিক্ষক সমিতির কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তারা ভ্রুক্ষেপ করছেন না। শিক্ষক সমিতির দুএকজন শিক্ষক এসেছেন, সেটা শুধুমাত্র মর্নিং ওয়াকের জন্য। তারা এসেছিলেন, দেখে গেছেন।

অনশন ভাঙার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যেই সিদ্ধান্ত ছিল অনশনকারীদের এই দুর্বিসহ কষ্ট আমরা সহ্য করতে পারছি না। আমরা চেয়েছিলাম, তারা যাতে অনশন ভেঙে ফেলে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কোনো আশ্বাস ছাড়া অনশন ভাঙতে রাজি হয়নি। গতকাল রাত ১১টার দিকে টেলিফোনে জাফর ইকবাল স্যারের সঙ্গে আমাদের আন্দোলনের কিছু সহযোদ্ধার কথা হয়। অনশন থেকে শুরু করে আমাদের ৩০০ জনের নামে মামলা, সাবেক শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া—এসব বিষয়ে কথা হয়। তিনি (জাফর ইকবাল) জানান, আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসবেন এবং কিছু সুসংবাদ নিয়ে আসছেন বলে আমদের আশ্বস্ত করেন। ৩টার দিকে জাফর ইকবাল স্যার ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। প্রথমে তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সিদ্ধান্ত হয় তারা অনশন ভাঙবে কিন্তু তাদের আশ্বস্ত করতে হবে।

এ বিষয়ে জাফর ইকবাল স্যার বলেন, তিনি উপর মহলের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। সদোত্তর পাওয়ার পরেই তিনি এসেছেন। সকালেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়, তখন সবাই বুঝতে পারে এখানে আশ্বাসের জায়গা আছে। অনশন ভাঙানোর পরে তিনি বলেন, উপরের মহলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের কাছে আমি সদোত্তর পেয়েছি। স্যার এবং ইয়াসমিন ম্যাম বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের অমানবিক আচরণ গ্রহণযোগ্য না। ক্যাম্পাসটা আমাদের, আমাদের ক্যাম্পাসে কে থাকবে-না থাকবে সেই সিদ্ধান্ত নেব আমরা।

আশ্বাস পূরণে কোনো সময় সীমা আছে কি না সে বিষয়ে তিনি বলেন, এ রকম কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি কিন্তু দাবি পূরণ হবে।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাস থেকে এখনো পুলিশ সরেনি, পুলিশ আছে। এ সম্পর্কে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এই দাবিও আমরা রাখবো যত দ্রুত সম্ভব পুলিশ যাতে সরিয়ে নেওয়া হয়। আমরা সহিংসতার পথ বেছে নিইনি। আমাদের সামনে পুলিশকে রেখে সহিংস আচরণ আমরা প্রত্যাশা করছি না।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পুরো সময় না এলেও আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরীকে শিক্ষার্থীদের পাশে দেখা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

A rush to heal exposed banking wounds

In October, a video on social media showed the manager of Social Islami Bank’s Agargaon branch breaking down in tears after enduring harsh verbal abuse from frustrated customers seeking to withdraw cash.

1h ago