হ্যাগলি ওভালের উইকেট নিয়ে ভীত নয় বাংলাদেশের তরুণরা
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল বরাবরই নিউজিল্যান্ডের জন্য পয়া। এই মাঠে তাদের রয়েছে দুর্দান্ত রেকর্ড। আট টেস্টে ছয়টি জয়ের সঙ্গে একটি করে ড্র ও হার। বাউন্সের সঙ্গে উইকেট ঘাসে ভরা হওয়ায় দলটির তারকাসমৃদ্ধ পেস আক্রমণ এখানে পেয়ে থাকে বাড়তি সুবিধা। তবে এই কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে তার তরুণ শিষ্যরা চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে ৮ উইকেটে হেরে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। আগামীকাল রবিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট তাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। সিরিজ হার এড়াতে জয়ের কোনো বিকল্প নেই তাদের সামনে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কিউইরা এমন এক ভেন্যুতে খেলতে নামছে, যেখানে তাদের সাফল্য ঈর্ষা জাগানোর মতো। অন্যদিকে, সফরকারী বাংলাদেশ দলের সামনে রয়েছে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। হ্যাগলি ওভালে হার এড়াতে পারলেই প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয়ের উল্লাসে মাতবে তারা।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরুর আগের দিন শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেছেন, তারুণ্যনির্ভর দলের ওপর তার আস্থা রয়েছে এবং হ্যাগলি ওভালে নিউজিল্যান্ডের উজ্জ্বল পরিসংখ্যান তাদেরকে প্রভাবিত করছে না, 'তারা এমন কিছুর চেষ্টা করতে চায় যা অন্য কোনো বাংলাদেশ দল আগে করতে পারেনি এবং সেটা হলো, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে একটি সিরিজ জেতা। তারা মাঝপথে রয়েছে, পুরো কাজ এখনও শেষ হয়নি, তবে তারা খুব বিশেষ কিছু করার চেষ্টা করতে এবং সেটা অর্জন করতে মুখিয়ে আছে।'
সবশেষ টেস্টে জয়ের আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সব সংস্করণ মিলিয়ে ৩২ ম্যাচ খেলে সবকটিতে হেরেছিল বাংলাদেশ। বারবার দেশটিতে সফরে গিয়ে ব্যর্থতা সঙ্গী হয়েছিল তাদের। কিন্তু সেই গভীর ক্ষত বয়ে বেড়ানো সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকেই নেই এবার। এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ, 'এটি একটি তরুণ দল। তাই তারা এমন সব ক্ষত নিয়ে এখানে আসেনি যেগুলো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনেকবার খেলার কারণে সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে তৈরি হয়েছে।'
উল্লেখ্য, মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নিউজিল্যান্ডের একাদশের সাত সদস্যের বয়স ছিল ৩০ বছরের বেশি। কাইল জেমিসন ও রাচিন রবীন্দ্র, কেবল এই দুইজনের বয়স ছিল ২৮ বছরের কম। অন্যদিকে, বাংলাদেশের একাদশে থাকা আট ক্রিকেটারের বয়সই ছিল ২৮ বছরের কম।
Comments