সিনিয়রদের ছাড়া নিজেদের প্রমাণে মুখিয়ে ছিলেন জুনিয়ররা
সিনিয়র ক্রিকেটারদের সবাই সরে গেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের কি অবস্থা হতে পারে, এই নিয়ে কৌতূহল কিংবা শঙ্কাও আছে অনেকের। অথচ সিনিয়র ক্রিকেটারদের কোন রকম অবদান ছাড়াই দেশের ক্রিকেটে এসে গেছে সবচেয়ে স্মরণীয় জয়। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে হারানো অবিশ্বাস্য ঘটনার জন্ম দিয়েছে মুমিনুল হকের দল। বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করেন, সিনিয়র ছাড়াই নিজেদের প্রমাণ করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন জুনিয়ররা।
বুধবার মাউন্ট মাঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের মধ্যে মাশরাফি মর্তুজা সরে গেছেন আগেই। বাকি চারজনের মধ্যে টেস্ট থেকে অবসরে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। চোট ও ছুটি মিলিয়ে এবার নিউজিল্যান্ড সফরে দলে ছিলেন না সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের মতো দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। অবিস্মরণীয় জয়ের একাদশে একমাত্র সিনিয়র মুশফিকুর রহিম থাকলেও তার অবদান ১২ ও অপরাজিত ৩ রান।
প্রথম ইনিংসে ১৭৬ ওভারের বেশি ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। তাতে চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তা দেখিয়েছেন অপেক্ষাকৃত জুনিয়ররাই। ২২৪ বল খেলে ৭৮ করেন মাত্র দ্বিতীয় টেস্টে নামা মাহমুদুল হাসান জয়। নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৬৪। অধিনায়ক মুমিনুল হককে সিনিয়রদের কাতারেই এখন রাখতে হবে। তবে সেই আলোচিত পাঁচ সিনিয়রের পরের ব্যাচে উঠে তার নাম। তিনি করেন সর্বোচ্চ ৮৮ রান।
গত দেড় বছর ধরে টেস্টে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৮৬ রান। ব্যাটে বলে অবদান রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাসকিন আহমেদ দুই ইনিংসেই করেছেন ভাল বল। তবে সবাইকে ছাপিয়ে নায়ক ইবাদত হোসেন। মাত্র ১০ টেস্টের অভিজ্ঞতা তার। ক্যারিয়ারের শুরুটা সাদামাটা হলেও দেশের ইতিহাসের সেরা জয়ে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে নায়ক তিনি।
বাংলাদেশ জেতার মতো জায়গায় যায় তার দুর্ধর্ষ এক স্পেলেই। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মুমিনুল বললেন, জুনিয়ররা অপেক্ষায় ছিলেন এমন দিনেরই, 'জুনিয়র যারা ছিল তারা একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল, সুযোগ পেলে কাজে লাগাবে। আমার কাছে মনে হয় ওই জিনিসটা দেখাতে পেরেছে। হ্যাঁ অবশ্য এটা একটা বড় আভাস দেয় যে আগামীতে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ভাল কিছু আছে।'
Comments