পুড়ে যাওয়া লঞ্চের ইঞ্জিনে ত্রুটি পেয়েছে তদন্ত দল, নিহত বেড়ে ৩৮
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিনে ত্রুটি পাওয়ার কথা জানিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত দল।
সাত সদস্যের তদন্ত দল আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লঞ্চটিতে প্রাথমিক ভাবে ত্রুটি খুঁজে পাওয়ার কথা জানায়।
তদন্ত দলের আহ্বায়ক যুগ্ম সচিব মো. তোফায়েল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা ইঞ্জিনে কিছু ত্রুটি পেয়েছি। এখন কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে মিলিয়ে দেখছি।'
বিআইডব্লিউটিএর একটি সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, লঞ্চটিতে প্রথম শ্রেণির দুই জন মাস্টার থাকার কথা ছিল। কিন্তু লঞ্চটিতে যে দুই জন মাস্টার ছিলেন তারা দ্বিতীয় শ্রেণির।
নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮
ঝালকাঠি লঞ্চ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩৮ জনে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, ঢাকায় চিকিৎসাধীন আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরগুনা ও ঝালকাঠির জেলা প্রশাসন মোট ৬৮ জন নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে ঝালকাঠির একান্ন জন ও বরগুনায় সতেরো জন।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, তারা ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে পেয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও ডিএনএ নমুনা রেখে বাকি দেহগুলো গণকবর দেওয়া হচ্ছে। শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের দাফন হয়েছে। নিখোঁজদের স্বজনরা সুগন্ধা নদীতে ট্রলার নিয়ে খোঁজ করছেন।
অপমৃত্যুর মামলা
যাত্রীবোঝাই অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দিয়াবারি এলাকার গ্রাম পুলিশ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঝালকাঠি সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
Comments