মঙ্গলে ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পানি’ পাওয়ার দাবি ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার

ছবি: ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থা

লাল গ্রহ মঙ্গলের গিরিখাতে (গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন) 'উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পানি' থাকার কথা জানিয়েছে ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিএনএন জানায়, এই প্রতিবেশী গ্রহকে প্রদক্ষিণকারী অরবিটারের মাধ্যমে বিষয়টির খোঁজ পেয়েছেন ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীরা।

মঙ্গলের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন 'ভ্যালিস মেরিনারিসে' পানির অস্তিত্ব শনাক্ত করেছে 'দ্য এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটার'। ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থা ও রুশ মহাকাশ সংস্থা 'রসকসমস' যৌথভাবে ২০১৬ সালে মিশনটি চালু করে।

মঙ্গলের 'ভ্যালিস মেরিনারিস' গিরিখাত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের গিরিখাত 'গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন'র চেয়ে ১০ গুণ দীর্ঘ, ৫ গুণ গভীর ও ২০ গুণ প্রশস্ত। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দৈর্ঘ্যে ২৭৭ মাইল, প্রস্থে সর্বোচ্চ ১৮ মাইল ও সর্বোচ্চ গভীরতা ১ মাইলেরও বেশি।

ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থা জানায়, 'ভ্যালিস মেরিনারিস' গিরিখাতের পৃষ্ঠতলে পানি রয়েছে এবং সেটি 'দ্য এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটার'র ফাইন রেজুলেশন এপিথার্মাল নিউট্রন ডিটেক্টরের মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছে। যন্ত্রটি মঙ্গল পৃষ্ঠের ১ মিটার (৩ দশমিক ২৮ ফুট) গভীরের মাটির হাইড্রোজেন ম্যাপিং করতে সক্ষম।

মঙ্গলে বেশিরভাগ পানি গ্রহটির মেরু অঞ্চলে বরফ আকারে রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, 'ভ্যালিস মেরিনারিস' গিরিখাত গ্রহটির বিষুবরেখার ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত, যেখানকার তাপমাত্রা সাধারণত পানি বরফ আকারে থাকার মতো যথেষ্ট ঠাণ্ডা হয় না।

২০১৮ সালের মে থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত 'দ্য এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটার'র সাহায্যে এ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর আগের অরবিটারগুলো কেবল মঙ্গল পৃষ্ঠের নিচে পানির সন্ধান করেছে এবং গ্রহটির ধূলিকণার নিচে স্বল্প পরিমাণে পানি শনাক্ত করেছে।

গত বুধবার ইকারাস জার্নালে ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার নতুন এই আবিষ্কারের বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

AL leaders' homes, businesses destroyed, vandalised

Demolition work on Dhanmondi-32 was on going till filing of this report at 1:30am

50m ago