মশা-মাছির প্রজননক্ষেত্র যশোর সদর হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবনগুলো
ময়লা-আবর্জনার স্তুপ আর মশা-মাছির প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে যশোর সদর হাসপাতালের ১০টি পরিত্যক্ত ভবন। অব্যবহৃত পড়ে থাকায় সেখানে ফেলা হয় বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা, জন্ম নিচ্ছে মশা-মাছি।
হাসপাতাল এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ও ড্রেনের কারণে বিশাল অংশজুড়ে বিরাজ করছে নোংরা পরিবেশ। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতেও দেখা দিয়েছে মশার উপদ্রব। মশার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। পরিত্যক্ত ভবনগুলো থেকে মশার জন্ম হচ্ছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান রোগীরা।
গত ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত যশোরে ১৩৮ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালে রয়েছে ১০টি পরিত্যক্ত ভবন। বৃটিশ সরকারের আমলে এ সব ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। কয়েক বছর আগে গণপূর্ত বিভাগ যে ভবনগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। পরিত্যক্ত ভবন ও তার পাশে নিয়মিত ময়লা ফেলার কারণে সেখানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমেছে। জন্মেছে লতাগুল্ম ও গাছপালা। ফলে এসব ভবনে বিরাজ করছে ভুতুড়ে পরিবেশ। জন্ম নিচ্ছে মশা-মাছি আর বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড়। সম্প্রতিকালে বেড়েছে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার উপদ্রব।
যশোর সদর হাসপাতালে নেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশ।
পরিত্যক্ত ভবনগুলো ভেঙে ফেলা বা মেরামতের দায়িত্ব গণপূর্ত বিভাগের। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি কমিটিও আছে। বিভিন্ন সময় কমিটির সভা হয়। এসব সভায় পরিত্যক্ত ভবন ভাঙার সিদ্ধান্ত হলেও কার্যকর হচ্ছে না।
ফলে, নোংরা পরিবেশের কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আরিফ আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গণপূর্ত বিভাগকে পরিত্যক্ত ভবন ভেঙে ফেলার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা অচিরেই ব্যবস্থা নেবে।'
যশোর সদর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাসপাতালের পাশেই ১০টি পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে। ভবনগুলো সার্ভে করে ভাঙার কাজ শুরু হবে। ভবন ভেঙে ফেলার পর জায়গা পরিষ্কার করা হবে।'
Comments