শুরুতেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিলেন ইবাদত-খালেদ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শর্ট ডেলিভারি পুল করতে চেয়েছিলেন আজহার আলি। তবে ব্যাটে-বলে সংযোগ হলো না ঠিকঠাক। টপ এজ হয়ে বল উঠে গেল উপরে। সহজ ক্যাচটা লুফে নিতে ভুল করলেন না উইকেটরক্ষক লিটন দাস। দিনের শুরুতেই বাংলাদেশকে আনন্দের মুহূর্ত এনে দিলেন পেসার ইবাদত হোসেন। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে এলবিডব্লিউ করে সেই উল্লাসের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিলেন আরেক পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ।

মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা। শুরুটা দারুণ হয়েছে স্বাগতিকদের। প্রথম ৫ ওভারের মধ্যে তারা তুলে নিয়েছে ২ উইকেট। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ৬৮ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯৭ রান। ক্রিজে আছেন দুই নতুন ব্যাটার ফাওয়াদ আলম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। কেউই এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

৬৩.২ ওভারে আগের ২ উইকেটে ১৮৮ রান নিয়ে খেলতে নামে পাকিস্তান। খালেদ তার অসমাপ্ত ওভারটি করার পর আরেক প্রান্ত থেকে বোলিংয়ে আসেন ইবাদত। এই পেসারের নিরীহ একটি ডেলিভারিতে উইকেট হারান আজহার। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। ১৪৪ বলের ইনিংসে ৮টি চার মারেন তিনি। আজহারের বিদায়ে ভাঙে পাকিস্তানের ২৪০ বলে ১২৩ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

স্কোরবোর্ডে আর ৪ রান যোগ হতে বিদায় নেন বাবর। তাকে ঝুলিতে পুরে তৃতীয় টেস্টে এসে শেষ হয় খালেদের অপেক্ষার। এই সংস্করণে নিজের প্রথম উইকেটের স্বাদ পান তিনি। নিঃসন্দেহে তার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে উইকেটটি। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা বলটি কিছুটা নিচু হয়েছিল। বাবরের প্যাডে লাগার পর আম্পায়ার আঙুল উঁচিয়ে দেন আউটের সিদ্ধান্ত। রিভিউ নিয়েছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। তাতে কাজ হয়নি। বরং নষ্ট হয় সেটা। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, লেগ স্টাম্প উপড়ে যেত। বাবর সাজঘরে ফেরেন ৭৬ রানে। তার ১২৬ বলের ইনিংসে চার ৯টি ও ছয় ১টি।

আগের দিন টানা বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দলই হোটেল থেকে বের হয়নি। তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় চতুর্থ দিন সকালেই ক্রিকেটাররা চলে আসেন মাঠে। ১০টা ১০ মিনিটে মাঠ পরিদর্শন করে খেলা শুরু হওয়ার সময় জানিয়ে দেন আম্পায়াররা। আবার বৃষ্টি বাগড়া না দেওয়ায় সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মাঠে নেমেছে দুই দল।

মিরপুর টেস্টের শুরু থেকেই হানা দিয়েছে বৃষ্টি। প্রথম দিনে বৃষ্টি ও আলোক স্বল্পতায় খেলা হয় ৫৭ ওভার। দ্বিতীয় দিনে থেমেথেমে চলা বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়াতে পারে কেবল ৬.২ ওভার। আর তৃতীয় দিনের পুরোটাই গেছে বৃষ্টির পেটে। একটি বলও গড়াতে পারেনি মাঠে। আম্পায়াররা জানিয়েছেন, চতুর্থ দিনে ৮৬ ওভার বোলিংয়ের চেষ্টা করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

JCD ends Shahbagh protest demanding justice for Shammo

Demonstrators blocked key intersection, sought arrest and trial of accused

58m ago