শীতলক্ষ্যা দূষণকারী ৪ ডাইং কারখানার বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় শীতলক্ষ্যা নদী দূষণকারী ৪টি ডাইং কারখানার বিরুদ্ধে পৃথকভাবে ৪টি মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর আগে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) না থাকায় ওই কারখানাগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। 

আজ রোববার রাতে পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। 

বিজ্ঞপ্তিতে মামুন বলেন, 'নদী দূষণের অপরাধে ৪টি ডাইং কারখানার বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে নারায়ণগঞ্জের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পৃথকভাবে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শেখ মুজাহীদ বাদী হয়ে এ মামলাগুলো দায়ের করেন। কারখানাগুলো পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া এবং ইটিপি নির্মাণ ছাড়াই পরিচালনা করা হচ্ছিল।' 

তিনি আরও বলেন, 'মামলায় আসামি কারখানাগুলোর ৫ জন মালিককে গ্রেফতারসহ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করেন। নদী দূষণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয় থেকে নিয়মিতভাবে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াও চলমান থাকবে।'

কারখানাগুলো হলো উপজেলার জালকুড়ি এলাকার সায়মা নিট ফ্যাশন, একই এলাকার সীমা নিটওয়্যার অ্যান্ড ডাইং, জাগরণ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও কুতুবপুর ওয়াবদারপুল এলাকার রাইডার থ্রেড অ্যান্ড এক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এর মধ্যে সীমা নিটওয়্যার অ্যান্ড ডাইং, জাগরণ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও সায়মা নিট ফ্যাশন কারখানা ২০১২ সাল থেকে এবং রাইডার থ্রেড অ্যান্ড এক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০১৮ সাল থেকে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি স্থাপন ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, '২৪ নভেম্বর কারখানাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। ওই সময় কারখানা থেকে সৃষ্ট অপরিশোধিত তরল বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করে সিলগালা করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণাগারে পাঠানো হয়।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Fire service & civil defence: High-risk job, low pay

Despite risking their lives constantly in the line of duty, firefighters are deprived of the pay enjoyed by employees of other departments, an analysis of their organograms shows.

8h ago