যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০০ জনের কাছে ১২০টি বন্দুক: সমীক্ষা

বন্দুকের মালিকানার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সম্পর্ক অনন্য এবং দেশটির বন্দুক সংস্কৃতির বিষয়ে পুরো বিশ্বই জানে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০০ জনের কাছে ১২০টি বন্দুক আছে। বিশ্বের অন্য কোনো দেশের নাগরিকদের কাছে এত বেসামরিক বন্দুক নেই।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ছোট অস্ত্র সমীক্ষার (এসএএস) ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সমীক্ষার বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, বন্দুকের মালিকানার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ। তবে সেখানে মালিকানার হার যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক। দক্ষিণ-পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরের ব্রিটিশ ভূ-খণ্ড ফকল্যান্ডে প্রতি ১০০ জন প্রায় ৬২টি বন্দুকের মালিক।

এর পরে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেন। গত প্রায় ৭ বছর ধরে সংঘাতের মধ্যে চলা এই দেশটিতে প্রতি ১০০ জন ৫৩টি বন্দুকের মালিক।

সিএনএন বলছে, অনিবন্ধিত অস্ত্র, অবৈধ বাণিজ্য ও বৈশ্বিক সংঘাতের কারণে বেসামরিক মালিকানাধীন আগ্নেয়াস্ত্রের সঠিক সংখ্যার হিসাব রাখা কঠিন। তবে এসএএস এর গবেষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৮৫ কোটি ৭০ লাখ বেসামরিক অস্ত্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ৩৯ কোটি ৩০ লাখ অস্ত্রের মালিক।

অর্থাৎ, বিশ্বের বেসামরিক বন্দুকের প্রায় ৪৬ শতাংশের মালিক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের ২০২০ সালের অক্টোবরের একটি সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের বাড়িতে অন্তত একটি বন্দুক আছে এবং প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তিগতভাবে একটি বন্দুকের মালিক।

টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও কমপ্যারাটিভ কনস্টিটিউশনস প্রকল্পের পরিচালক জ্যাচারি এলকিনসের ভাষ্য, গৃহযুদ্ধ ও অন্যান্য সংঘাতের কারণে বা মালিকানার বিষয়ে শিথিল বিধিনিষেধের কারণে কিছু দেশের অনেক নাগরিকের হয়তো বন্দুকের মালিকানা আছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যেখানে অস্ত্র বহন করা বা রাখা একটি সাংবিধানিক অধিকার। বিশ্বের এমন আর ২টি দেশ আছে। সেগুলো হলো-গুয়েতেমালা ও মেক্সিকো। তবে এ দুটো দেশে ব্যক্তিগত অস্ত্রের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০ ভাগের ১ ভাগ।

ইউএস ব্যুরো অফ অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে দেশটির প্রস্তুতকারীরা প্রায় ৯০ লাখ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করেছে, যা ২০০৮ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র উত্পাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশের নাগরিকদের বন্দুক কেনাও বাড়ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Chief adviser in meeting with leaders of 13 political parties

The meeting is being held at Jamuna, official residence of the chief adviser

36m ago