সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩ মামলায় অভিযোগ গঠন

ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল

ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা ৩ মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এই চার্জ গঠন করেন।
এর আগে বিচারক মামলার অভিযোগগুলো পড়ে শোনালে কাজল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানান।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কাজল বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছে।
কার্যদিবসের শুরুতে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে জমা দেওয়া ৩টি আলাদা আলাদা পিটিশন নাকচ করেন বিচারক।
এ ছাড়াও, ট্রাইব্যুনাল বিচার কার্যক্রম শুরুর দিন হিসেবে ২ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে।
কাজলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী এবং সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় গত বছরের ৯, ১০ ও ১১ মার্চ ৩টি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলো করা হয় যথাক্রমে শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা গত ৪ এপ্রিল, ৪ ফেব্রুয়ারি ও ১৪ মার্চ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তিনটির অভিযোগপত্র জমা দেন।
কাজলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং যুব মহিলা লীগের শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে অশালীন, মানহানিকর, আপত্তিকর ও ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সাংবাদিক কাজল গত বছরের ১০ মার্চ নিখোঁজ হন। ওই বছর ৩ মে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে ঘুরতে দেখে আটক করে। একই দিনে তাকে যশোরের একটি আদালত ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজতে পাঠায়।
পরবর্তীতে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নিম্ন আদালত ৭ মাস তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে গত বছর ২৪ নভেম্বর হাইকোর্ট তাকে একটি মামলায় জামিন দেন। কাজলের আইনজীবীরা যুক্তি দেখান, মামলা দায়েরের ৭৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হতে হবে, যা তদন্ত কর্মকর্তারা করেননি। অবশেষে হাইকোর্ট ১৭ ডিসেম্বর তাকে অপর ২টি মামলায়ও জামিন দেন।
২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হন কাজল।

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

1h ago