ইভ্যালি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে বিচারপতি মানিকসহ ৫ সদস্যের বোর্ড

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

কোম্পানিটি অবসায়ন চেয়ে করা এক আবেদনে আজ সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ অন্তবর্তীকালীন এ আদেশ দেন।

বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন-সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, মাহবুবুল করিম, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ইভ্যালি পরিচালনার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠনের অভিমত ব্যক্ত করেন। আদালত সেদিন বলেন, কোম্পানির দুজন সদস্য, দুজনই কারাগারে। কীভাবে বোর্ড মিটিং হবে? বোর্ড মিটিং করতে গেলেও তা করা যাচ্ছে না। বোর্ড মিটিং না করতে পারলে টাকা কোথায় কী আছে, সে বিষয়েও জানা যাচ্ছে না। সাবেক বিচারপতি, সচিব ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসহ একটি বোর্ড গঠন করা যেতে পারে।

বোর্ডের সদস্য করার জন্য সেদিন আদালত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার নাম প্রস্তাব করতে বলেন। এরপর আদালত আজ ওই বোর্ড গঠন করেন।

কোম্পানি অবসায়নের আবেদনের পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন আদেশের পর জানান, হাইকোর্ট ইভ্যালি কোম্পানি লিমিটেড নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য সাবেক একজন বিচারপতিকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করেছেন। আগামী ধার্য তারিখে বোর্ডকে কোম্পানিটির ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।

ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না-এমন অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মামলা করার পরদিন বিকালে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দুজনই কারাগারে। এরই মধ্যে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এতে ইভ্যালি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনেরও আবেদন জানান।

এ আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ জন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।

এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত ইভ্যালির সব নথিপত্র ১১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার এ নথি গত ১১ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেন। বিশাল আকারের এ নথি আদালতে জমা পড়েছে। তবে বিশাল আকৃতির এ নথি এখনো খতিয়ে দেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। এরই ধারাবাহিকতায় বোর্ড গঠনের আদেশ এলো।

Comments

The Daily Star  | English

Renewable ambitions still mired in uncertainty

Although the Awami League government made ambitious commitments to renewable energy before being ousted by a mass uprising in August last year, meeting those lofty goals remains a distant dream for the country.

10h ago