ব্যাটসম্যানদের মন আরও ভালো করে বুঝতে পারেন তাসকিন

বাংলাদেশের পেস আক্রমণে অন্যতম নাম তাসকিন আহমেদ। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আলোয় থাকা গতিময় এই পেসার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেরও বড় অস্ত্র। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপে তিনি জানিয়েছেন তার বিশ্বকাপ ভাবনা।
এটা আপনার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগেরবার নাটকীয় ছিল বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হয়েছিল। এবার প্রস্তুতি কেমন
তাসকিন আহমেদ: বিশ্বকাপ আমার কাছে বরাবরই বিশেষ কিছু। ২০১৫ বিশ্বকাপে আমি ভাল খেললাম ২০১৬ সালে আমার অ্যাকশনে সমস্যা ধরা পড়ল। ফিটনেসের কারণে ২০১৯ বিশ্বকাপে সুযোগ পেলাম না, তখন অনেক ভেঙ্গে পড়েছিলাম। আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। তবে কোন কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কারণ অনেক ভালো বলেও বাউন্ডারি হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী।
ওমান ও সংযুক্র আরব আমিরাতের উইকেট মাথায় রেখে কোন ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন?
তাসকিন: আমার শক্তির জায়গা হচ্ছে গতি আর সিমে হিট করা। এবং নতুন বলে স্যুয়িং আদায় করা, পাশাপাশি পরিস্থিতির বিচারে অধিনায়কত্বের চাহিদা মেটানো। আমার গতি বেড়েছে ও লাইন-লেন্থ আরও নিখুঁত হয়েছে। কিন্তু আমি এখনো কাটার ভাল করে করতে পারি না। মাশরাফি ভাই (মাশরাফি মর্তুজা) আমাকে সম্প্রতি কাটার শেখাতে সাহায্য করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ। সব কিছু নির্ভর করছে মানিয়ে নেওয়া এবং উইকেটের উপর।
পেস বোলারদের সামান্য হেরফেরেও বড় ভুল হয়ে যায়। টি-টোয়েন্টিতে টিকে থাকতে মানসিকভাবে মানিয়ে নেওয়ার চিন্তা কতটা করেন?
তাসকিন: আমি প্রয়োগের উপর গুরুত্ব দেই অন্য কিছু না ভেবে। মনে পড়ে নিউজিল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমি ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়েছিলাম। তারপরও বোলার হিসেবে আমার অনুভূতি ভাল ছিল কারণ আমার প্রয়োগটা ঠিক ছিল। আমি ওইদিন পরে কম্পিউটার অ্যানালিস্টের সঙ্গে কথা বলি। বের হয়ে আসল মাঠ ছোট ছিল, বেশ কিছু বল এজ বাউন্ডারি হয়ে যায়। কাজেই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমি প্রয়োগ করতে পারলাম কিনা।
একটা দলের বৈচিত্র্যময় পেস আক্রমণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বিশ্বকাপে বোলিং জুটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ হবে?
তাসকিন: কৌশল একেকজনের একেকরকম। আমি গতির উপর নির্ভর করি। মানুষ বলতে পারে অনেক শট বল করছি কেন। কিন্তু এসব পরিকল্পনার অংশ থাকে। এটা পরিস্থিতির দাবি এবং অধিনায়কের নির্দেশনাতেই হয়। দলের হয়ে যখন খেলবেন তখন ব্যক্তিগত কিছুই না। ফিজ (মোস্তাফিজুর রহমান) টি-টোয়েন্টিতে অন্যতম সেরা বোলার, আইপিএলেও ভাল করছে। তার অভিজ্ঞতা আমাদের দলের জন্য বাড়তি শক্তি। শরিফুল আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। সাইফুদ্দিনের আলাদা বৈচিত্র্য আছে। আমার মনে হয় কন্ডিশন অনুযায়ী আমরা প্রভাব ফেলতে পারব।
ব্যাটসম্যানকে পড়তে পারা কতটা জরুরী?
তাসকিন: হ্যাঁ, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় এই জায়গায় আমি উন্নতি করছি। আমি পরিস্থিতি আরও ভাল বুঝতে পারছি, ব্যাটসম্যানকে পড়তে পারছি আরও ভালোভাবে। এমনকি শেষ দুই বলও যাতে হেরফের না হয় সেটা নিশ্চিত করছি। টি-টোয়েন্টি ইকোনমির খেলা। যদি ৪ ওভারে ৩০ রান দেন তাহলে বেশ ভাল। আর যদি কিছু উইকেটও পান তাহলে সুপার।
Comments