জাপানে জরুরি অবস্থার মেয়াদ ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ল

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের রাজধানী টোকিও, চিবা, কানাগাওয়া, ওকিনাওয়া, ওসাকা ও সাইতামা প্রিফেকচারে চলমান জরুরি অবস্থা আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে ইবারাকি, তোচিগি, গুন্মা, শিযুওকা, কিয়োতো, হিয়োগো ও ফুকুওকাকে জরুরি অবস্থার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে জাপানের কেন্দ্রীয় সরকার।

আজ মঙ্গলবার রাতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা নিজ কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী এ ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি জানান, টোকিও ও অপর ১২টি প্রিফেকচার ছাড়াও আরও ১০টি প্রিফেকচার আধা জরুরি অবস্থার (বিশেষ নজরদারি) আওতায় থাকবে। প্রিফেকচারগুলো হলো-মিয়াগি, তোইয়ামা, ইয়ামানাশি, গিফু, মিয়ে, ওকায়ামা, হিরোশিমা, কাগাওয়া, এহিমে ও কাগোশিমা।

এসব এলাকার স্থানীয় প্রশাসন জনস্বার্থে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সুগা টাইফুনের কারণে নিহতদের স্মরণ করেন। করোনা মহামারির কারণে এক বছর দেরি হলেও বিধিনিষেধের মধ্যে টোকিও অলিম্পিক সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতার জন্য তিনি জাপানী জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সুগা বলেন, 'জাপান আয়োজক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করেছে। আশা করি জনগণ তা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।'

এসময় তিনি ক্রীড়াবিদ, আয়োজক কমিটি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

জাপানে ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের শতকরা ৮৫ ভাগের করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান সম্পন্ন এবং জুন মাসে প্রতিদিন ১০ লাখ ১০ হাজার, জুলাই মাস থেকে প্রতিদিন ১৫ লাখ ৫০ হাজার লোককে টিকাদান করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সুগা।

জাপানে করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন স্থানে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, 'করোনার সবচেয়ে সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট জাপানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ জন্য সবাইকে যথাযথভাবে করোনার স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শসহ বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।'

আজ মঙ্গলবার দেশটিতে আরও ১৯ হাজার ৯৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুধু রাজধানী টোকিওতে চার হাজার ৩৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ জাপানে করোনায় ৪৭ জন মারা গেছেন।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৬০ হাজার ৯০৭ জনে এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৬ জনের।

[email protected]

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

17h ago