'অনুরোধ করে' অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতে নিলেন তারা
'আমরা কি দুটি স্বর্ণ পেতে পারি।' ম্যাচ অফিশিয়ালকে এমন অনুরোধই করলেন কাতারের মুতাজ ঈসা বারশিম। মাথা ঝুঁকিয়ে তার অনুরোধ মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে ম্যাচ অফিশিয়াল বলেন, 'এটা সম্ভব।' সঙ্গে সঙ্গে দুই অ্যাথলেট হাততালি দিয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে মেতে ওঠেন। আর তার সঙ্গে তৈরি হলো নতুন কীর্তি। ১৯১২ অলিম্পিকের ১১৩ বছর পর আবার অ্যাথলেটিক্সে স্বর্ণ পদক ভাগাভাগি দেখল বিশ্ব।
ঘটনাটি ঘটে আগের দিন রোববার অলিম্পিকের নবম দিনে। পুরুষদের উচ্চ লম্ফের ফাইনালে অংশ নিয়েছিলেন ১৩ জন প্রতিযোগী। এরমধ্যে ৩ জন প্রতিযোগী সমান উচ্চতা পেরুলেন। কাতারের বারশিমের সঙ্গে ইতালির তাম্বেরি জিয়ানমার্কো ও বেলারুশের নেদাসেকু মাকসিমও ২.৩৭ মিটার পারি দিলেন। তবে বেলারুশের মাকসিম আগের প্রচেষ্টাগুলোও খারাপ তাকে বাদ দেওয়া গেল। কিন্তু বারশিম ও জিয়ানমার্কোর সব কিছুই সমান।
স্বাভাবিকভাবেই ফলাফল নির্ধারণে টাই-ব্রেকারের আশ্রয় নেওয়ার কথা ম্যাচ অফিশিয়ালের। দুই জনকে দিতে হবে আরও একটি করে লাফ দেওয়ার সুযোগ। এমন সিদ্ধান্তই নেন ম্যাচ অফিশিয়াল। দুইজনের ফলাফল আলাদা করতে না পারায় তাদের ডেকে বলেন, 'আমরা লাফ দেওয়া চালিয়ে যেতে পারি।' তার এমন কথা শুনে দুই জনকে দুটি স্বর্ণ দেওয়ার অনুরোধ করেন বারশিম।
কিছুক্ষণ ভেবে কাতারের এ অ্যাথলেটের অনুরোধ মেনে নেন সে অফিশিয়াল। দুই জনকেই স্বর্ণ বিজয়ী ঘোষণা করেন তিনি। অবশ্য নিয়ম মেনেই করেছেন। কারণ প্রতিযোগীদের আপত্তি না থাকলে যৌথ বিজয়ী ঘোষণা করার এখতিয়ার তার রয়েছে। আর তাতেই একবিংশ শতাব্দীর এ নতুন ইতিহাসকে আলিঙ্গন করে নিলেন বারশিম ও জিয়ানমার্কো।
স্বাভাবিকভাবেই রৌপ্য পদক দেওয়া হয়নি কাউকেই। ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় বেলারুশের নেদাসেকুকে।
Comments