ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনে বিরত থাকতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষের দ্বারা ইস্যু করা নয়। তাই এর বিপরীতে কোন আর্থিক দাবির স্বীকৃতিও থাকে না।
সম্প্রতি দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার অবস্থান পরিষ্কার করে আজ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। একে 'স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তি' হিসেবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) লেখা এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সির সংরক্ষণ, লেনদেন অপরাধ নয় বলে মন্তব্য করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই অবস্থানের কথা গণমাধ্যমে আসার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পত্রের মাধ্যমে প্রেরিত মতামতের অংশ বিশেষ কোন কোন পত্রিকায় খণ্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে যা কোনক্রমেই সাধারণভাবে প্রচারযোগ্য নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় যে ক্রিপ্টোকারেন্সি, যেমন বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, রিপল ও লাইটকয়েন বিভিন্ন জায়গায় লেনদেন হচ্ছে। এসব ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না। ফলে এ মুদ্রার বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবি স্বীকৃত নয়। এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন করে না। সে কারণে এর ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ সমর্থন করে না। অনলাইনে নামবিহীন বা ছদ্মনামধারী প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে লেনদেনে অনিচ্ছাকৃতভাবে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক আইন লঙ্ঘন হতে পারে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। ওই অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Comments