মানুষের জীবনে কাজটাই আসল: দিলারা জামান

অভিনেত্রী দিলারা জামান। স্টার ফাইল ছবি

একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেত্রী দিলারা জামানের জন্মদিন ছিল শনিবার। জীবনের ৭৮ বছর শেষ করে ৭৯ বছরে পা রাখলেন তিনি।

এই বয়সে এসেও শুটিং থেমে নেই তার। আজও দিনভর শুটিং করছেন তিনি।

দিলারা জামান বলেন, ‘এভাবেই সুস্থ থেকে, মানুষের ভালোবাসা নিয়ে সারাজীবন কাজ করে যেতে চাই। মানুষের জীবনে কাজটাই আসল।’

জন্মদিন এলে দিলারা জামান স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। খুব করে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে। ছেলেবেলার অনেকটা সময় যশোরে কাটিয়েছেন তিনি।

সেখানে আমের দিনে আম কুড়িয়েছেন। বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিতে ভিজেছেন। মেঘ দেখলেই দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন। কখনো মেঘ দেখে ভয় কাজ করেনি। বরং আনন্দ পেয়েছেন।

বাসা থেকে একটু দূরে একটা কদম গাছ ছিল। কদল ফুল ফোটার সময় যেতেন গাছের কাছে। কদম ফুল দেখে ভীষণ খুশি হতেন। আজকের দিনে সেসব কথা খুব মনে পড়ে।

জন্মদিনে আরও মনে পড়ে যশোর ছেড়ে ঢাকায় আসার দিনটির কথা। যশোরের জন্য খুব খারাপ লাগছিল সেদিন। মায়া লাগছিল খুব।

রেলগাড়িতে করে ঢাকার রেলস্টেশনে নেমে ঘোড়ার গাড়িতে করে বাসায় গিয়েছিলেন। তখন ১৯৫৪ সাল। ওইদিন প্রথমবার ঘোড়ার গাড়িতে উঠেছিলেন।

আবার যখন কলেজে পড়তে শুরু করেন, ঘোড়ার গাড়িতে করেই তিনি কলেজে যেতেন।

দিলারা জামান বলেন, ‘বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নস্টালজিয়ায় পেয়ে বসে। তবে, জন্মদিনে ফেলে আসা ছেলেবেলার দিনগুলোর কথা প্রচণ্ডভাবে মনে পড়ে। খুব মিস করি।’

আজকের দিনটি শুটিং করেই কেটেছে দিলারা জামানের। অবশ্য টানা চারদিন ধরেই শুটিং করছেন তিনি। ‘দায়মুক্তি’ নামের একটি সিনেমার শুটিং চলছে।

‘দায়মুক্তি’ সিনেমা ছাড়াও কিছুদিন আগে ‘সুজুকি’ নামে সাঁওতালি গল্প নিয়ে একটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। সেখানে একজন সাঁওতাল বুড়ির চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

এ ছাড়া, ‘ওমর ফারুকের মা’ ও ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’ নামে আর দুটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন দিলারা জামান।

শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে ভারতে গিয়ে ১২ দিন শুটিং করে এসেছেন। বাকি কাজ হবে ঢাকায়।

উল্লেখ্য, দিলারা জামান ১৯৬৫ সালে প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। নাটকটির নাম ছিল ‘ত্রিধারা’।

Comments

The Daily Star  | English
India visa restrictions for Bangladeshi patients

A wake-up call for Bangladesh to reform its healthcare

India’s visa restrictions on Bangladeshi nationals, while initially perceived as a barrier, could serve as a wake-up call for Bangladesh to strengthen its healthcare system and regain the confidence of its patients.

12h ago