অধিক সংক্রমিত জেলায় দরিদ্রদের জন্যে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা

ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তবর্তীসহ কয়েকটি জেলায় দরিদ্রদের বিনামূল্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

যেসব জেলায় শনাক্তের হার বেশি, সেখানে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

একইসঙ্গে অধিক সংক্রমণের জেলাগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও লোকবল বাড়াতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সিভিল সার্জনদের আগামী তিন মাস দরিদ্র ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা বিনামূল্যে করার কথা বলেছি।’

তিনি জানান, অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলোতে বাড়তি ওষুধ, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও শয্যাও পাঠানো হবে।

সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, খুলনা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও জয়পুরহাটসহ আরও কয়েকটি জেলায় প্রতিদিনই শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে।

দেশে গড় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ হলেও এসব জেলার অনেকগুলোতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে।

এর মধ্যে বেশিরভাগ জেলায় অক্সিজেন ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি আছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমরা অধিক সংক্রমিত জেলাগুলোতে অতিরিক্ত অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, বেড, ওষুধ ও হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা পাঠাতে শুরু করেছি। এ ছাড়াও, আমরা কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছি তাদের আর কী কী প্রয়োজন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের যেহেতু সারাদেশে ঘুরতে হয়, তাই তাদের পরীক্ষাও বিনামূল্যে করা হবে। তারা কোভিড নেগেটিভ সনদ সঙ্গে রাখবেন। তাদের এই পরীক্ষা র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) শেখ মো. হাসান ইমাম বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে চিকিৎসকদের অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। তবে, ২০ জন চিকিৎসককে তাদের সংশ্লিষ্ট স্টেশনে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে ইতোমধ্যে ৬৬ জন চিকিৎসককে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলোতে পাঠানোর জন্য আমাদের ১০০ জন চিকিৎসক তৈরি আছেন। যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে তাদের আমরা পাঠিয়ে দেবো।’

সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় শনাক্তের হার প্রায় ৫৫ শতাংশ।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন হুসেইন শাফাত বলেন, ‘আমরা ২০ জন চিকিৎসক পাঠাতে অনুরোধ করেছিলাম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মৌখিকভাবে চিকিৎসক পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে। আমাদের অন্যান্য কর্মীও দরকার।’

ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুল্লাহ আল আমীন

Comments

The Daily Star  | English

MRT-1 unlikely to be ready before 2030

Five years have passed since the country’s first underground metro rail project was approved, but construction of the key structure has not yet begun.

8h ago