ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে সেন্টমার্টিনে ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি

সেন্টমার্টিন থেকে গতকাল বুধবার তোলা ছবি। ছবি: স্টার

কক্সবাজার জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে দুই হাজার ৫৭০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।

মাঠ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

টেকনাফের সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ‘পূর্ণিমার জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে  দ্বীপের চারপাশ ব্যাপকভাবে ভেঙে গেছে। দ্বীপের অন্তত ১০টি জায়গায় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বীপটিতে এমন ক্ষতি গত ৫০ বছরেও হয়নি। দ্বীপের দক্ষিণ পাশের একটি জামে মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলেদের বেশ কিছু নৌকা ও ট্রলার সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বাড়ি-ঘর।’

‘জোয়ারের স্রোতের আঘাতে দ্বীপের একমাত্র জেটিটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে কয়েকটি অংশে। নড়বড়ে হয়ে গেছে জেটিটি। এটি প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ছক অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার লবণ, মৎস্য, কৃষিজ, ঘরবাড়ি, বেড়িবাঁধ, পানের বরজ, বনজ সম্পদ ও গ্রামীণ সড়ক কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নিরূপণের জন্য মাঠ পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ চলছে।

তিন-চার দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে।

জেলার মাতারবাড়ি, চৌফলদন্ডী, কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছে।

মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেক) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা (বিসিক) এর অধীন কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, ‘কক্সবাজার জেলার সদর, পেকুয়া, মহেশখালী, চকরিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে দুই হাজার ৯৬ মেট্রিক টন লবণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৮৫ লাখ টাকা।’

Comments