ভ্যাকসিনের জন্য চীনের সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার চুক্তি সই
চীনের সিনোফার্মের করোনা ভাইরাসের টিকা ক্রয় ও দেশেই তা উৎপাদনের জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে নন-ডিজক্লোজার এগ্রিমেন্টে (এনডিএ) সই করেছে সরকার।
দুই থেকে তিন দিন আগে এটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ বিষয়ে গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা আজ (সোমবার) নন-ডিসক্লোজার চুক্তিতে সই করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসের শুরুতেই সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশে পৌঁছাবে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, এ বিষয়ক আলাপ-আলোচনা খুবই ইতিবাচক। আলোচনায় তারা চীন থেকে দুই থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রস্তাব রেখেছেন।
এর আগে গত মাসে বাংলাদেশে স্পুতনিক-ভি টিকা উৎপাদনের বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে এনডিএ সই হয়।
বাংলাদেশ এর মধ্যেই সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পেয়েছে। যা আগামী ২৫ মে থেকে প্রয়োগ করা হতে পারে।
গত ২৯ মে জরুরি ব্যবহারের জন্য সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দেয় সরকার।
একই দিনে এই টিকা দেশের ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিতে তৈরির জন্য নীতিগত অনুমোদনও দেওয়া হয়।
গত বছরের শুরুর দিকে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকাল প্রডাক্টস বিবিআইবিপি-করভি নামের করোনাভাইরাসের এই টিকা উদ্ভাবন করে। পরে ৩০ ডিসেম্বর চীনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি সিনোফার্ম ঘোষণা দেয়, এই টিকার কার্যকারিতার হার ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তখন এর অনুমোদন দেয় চীন সরকার।
চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর ও পাকিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশ এই টিকা ব্যবহার করছে।
এর মধ্যে চীনসহ বিশ্বের নানা জায়গায় কয়েক মিলিয়ন মানুষকে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়েছে। যা ২৮ দিনের ব্যবধানে দুই ডোজ করে নিতে হয়।
চলতি বছরের ৭ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিনোফার্ম উৎপাদিত টিকার জরুরি অনুমোদন দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক কোনো অপশ্চিমা দেশে উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকা অনুমোদনের প্রথম ঘটনা এটি।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মামুনুর রশীদ
Comments