এবার ওরিয়ন গ্রুপের চোখ ৪০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের দিকে
অনিয়ম আর ঋণ কেলেঙ্কারির জের ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকই খেলাপি। এসব মন্দ ঋণ ফিরে পাওয়া দুরূহ। নতুন করে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা এসব ব্যাংকের জন্য নিতান্তই কঠিন। ফলে সুযোগসন্ধানীদের এখন দৃষ্টি পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দিকে। অর্থাৎ, তাদের নতুন লক্ষ্যস্থল এখন খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারণ, করোনাভাইরাসের চলমান মহামারিতে রিজার্ভের আকার সাড়ে সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে ৪০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। আর এটিই ডেকে নিয়ে এসেছে রিজার্ভের জন্য বিপদ।
রিজার্ভ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য প্রথম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওরিয়ন গ্রুপ তৎপরতা শুরু করার পর থেকেই এই আশঙ্কার সূত্রপাত। রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য গত ২৬ জুলাই থেকে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটি ঋণ চায় ৯০৬ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার। টাকার অঙ্কে হিসাব করলে এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্টভাবে কোনো একটি ব্যাংক থেকে এক সঙ্গে এতো টাকা ঋণ পাওয়ার নজির নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভ থেকে এই ধরনের ঋণ দেওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও নিয়মবহির্ভূত। পাশাপাশি, পরিবেশ দূষণের কারণে বিভিন্ন দেশ এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বের হয়ে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের অনুমোদন দেওয়া উচিৎ নয়।’ তার মতে, বিষয়টি সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক উভয়কে খুব গুরুত্বসহকারে দেখা উচিৎ।
ওরিয়ন পাওয়ার প্ল্যান্ট-২ ঢাকা লিমিটেড নামক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর তীরে স্থাপন করতে চায় ওরিয়ন গ্রুপ। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার বা ৯ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা (এক টাকা সমান ৮৪ দশমিক ৮০ টাকা)। পুঁজি হিসেবে মোট ব্যয়ের মাত্র ২০ শতাংশ ওরিয়ন বিনিয়োগ করতে চায়। বাকি ৮০ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়ার জন্য তৎপরতা চালানো হচ্ছে এখন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি গত ২৬ জুলাই রূপালী ব্যাংকে চিঠি লিখে। পুনঅর্থায়নের মাধ্যমে এই ঋণ নেওয়ার চেষ্টা চলছে। অর্থাৎ রিজার্ভের টাকা রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হবে। যদি ওই টাকা সময়মতো ওরিয়ন ফেরত দিতে না পারে, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি রূপালী ব্যাংক থেকে আদায় করবে।
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘রিজার্ভ থেকে এভাবে টাকা নিয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা ফৌজদারি অপরাধের সামিল।’ তিনি মনে করেন, ‘এই ধরনের বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিবেশ দূষণের অন্যতম নিয়ামক।’
‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটি দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার অন্যতম নির্দেশক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত, কোনো দেশের অর্থনীতি যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লেনদেন করতে সঙ্কটে পড়ে তখনই রিজার্ভে হাত দেওয়া হয়,’ বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির এই অধ্যাপক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কেন এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ওরিয়ন গ্রুপের কোম্পানি সেক্রেটারি এমডি ফেরদৌস জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চার শতাংশ হারে ঋণ নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যাংকগুলোর চেয়ে কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের চলমান মহামারির জের ধরে বিশ্ব-অর্থনীতি এখন মন্দাবস্থায় আছে। ফলে বিশ্ববাজারে ঋণের সুদহার আপাতত কম। কিন্তু, সামনে তা আবার বাড়বে। বিদেশি ঋণের চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া অধিক সাশ্রয়ী।’
‘পাশাপাশি বিদেশি ঋণের গ্যারান্টি নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে কমিশন দিতে হয়, এতে তহবিলের ব্যয় আরও বেড়ে যায়,’ যোগ করেন ফেরদৌস জামান।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা রিজার্ভ থেকে ঋণ পেতে ব্যর্থ হই, তাহলে সিন্ডিকেশন লোনের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করব। ইতোমধ্যে ওরিয়ন গ্রুপকে একাধিক ব্যাংক ঋণের অনুমোদন দিয়েছে।’
এদিকে, ওরিয়ন গ্রুপকে ঋণ দেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কমকর্তাদের মধ্যে মতদ্বন্দ্ব শুরু হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা বলেন, ওই দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাদের একটি অংশ ওরিয়নকে ঋণ পেয়ে দেওয়ার জন্য তদবিরও শুরু করেছেন।
এশিয়ার মাত্র কয়েকটি ধনী রাষ্ট্র ইতোপূর্বে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ব্যবহার করেছে। চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরবসহ হাতে গোণা কয়েকটি দেশ তাদের রিজার্ভের উদ্বৃত্ত অংশ বিনিয়োগ করেছে। অধিকাংশ টাকাই তারা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ হিসেবে ব্যবহার করেছে অন্যান্য দেশে। কিন্তু, বাংলাদেশের মতো নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর রিজার্ভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ধরনের উদাহরণ বিরল।
ঋণ প্রস্তাব ইতোমধ্যেই প্রশ্নবিদ্ধ
রিজার্ভ থেকে ওরিয়নের এই ঋণ প্রস্তাব প্রথম হলেও বিষয়টি এখানেই থেমে থাকবে না। অন্যান্য বিতর্কিত ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোও ওরিয়নকে অনুসরণ করবে। অতীতের ইতিহাস তাই বলে। ২০১৫ সালে খেলাপিসহ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ পুনর্গঠনের জন্য বিতর্কিত একটি বৃহৎ ব্যবসায়িক গ্রুপ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করে। প্রচলিত ব্যাংকিং নিয়ম অবজ্ঞা করেই এই সুবিধা চাওয়া হয়েছিল। পরে মোট ১১টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দাবির মুখে তাদের ১৫ হাজার কোটি টাকা পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই টাকার বড়ো অংশ এখনও ফেরত আসেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার-১৯৭২ এর সঙ্গে রিজার্ভ থেকে ঋণ গ্রহণের এবারের প্রস্তাবও সাংঘর্ষিক। যদি কোনো কারণে ওরিয়ন সময়মতো ঋণ ফেরত দিতে না পারে, তাহলে রূপালী ব্যাংক বড় রকমের সংকটে পড়তে বাধ্য। কারণ, ওরিয়নের হয়ে তাদেরকে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে। ফলে এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে সাধারণত সরকারকে গ্যারান্টি দিতে হয়, যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকটি ঝুঁকি মোকাবেলা করতে পারে।
কিন্তু, সরকার নিজেই এখন পরিবেশ দূষণের বিষয়টি বিবেচনা করে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। অধিকন্তু, ওরিয়েন্টাল ব্যাংক (এখন আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক) থেকে বিতর্কিতভাবে ঋণ নেওয়ার পুরনো রেকর্ডও রয়েছে ওরিয়ন গ্রুপের। (https://www.thedailystar.net/news-detail-16813)
এত কিছুর পরও ওরিয়ন গ্রুপের সমুদয় ঋণের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য রূপালী ব্যাংকের বোর্ড গত ১৩ আগস্ট সিদ্ধান্ত নেয়। রূপালী ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি নতুন কিছু নয়। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত তাদের বিতরণ করা ৯৬ হাজার ১১৭ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্য হয়ে এসব ব্যাংকের ছয়টিতেই পর্যবেক্ষক বসিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিয়োগ দেওয়া রূপালী ব্যাংকের পর্যবক্ষেক হচ্ছেন এমডি সিরাজুল ইসলাম। গত ১৩ আগস্টের বোর্ড মিটিংয়ে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন তিনি। কিন্তু, তার বিরোধিতার পরও বোর্ডের কয়েকজন সদস্য ঋণপ্রস্তাবের পক্ষে ইতিবাচক অবস্থান নেন। এসব কারণে ১৯ আগস্ট প্রস্তাবটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়।
অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের একাংশ এই ঋণপ্রস্তাবের ক্ষেত্রে খারাপ কিছু খুঁজে পাননি। তারা ইতিবাচকভাবেই এর পক্ষে অবস্থান নেন। এরপর ৩১ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংক চিঠি দেয় রূপালী ব্যাংককে, যাতে ঋণপ্রস্তাবটির ওপর আরও বিস্তারিতভাবে বিবরণ চেয়ে পাঠানো হয়।
এরপরই ঘটনাটি নাটকীয় মোড় নেয়। কারণ, রূপালী ব্যাংকের বোর্ড ৩০ সেপ্টেম্বর সিদ্ধান্ত নেয়, এতো বিশাল ঋণের বোঝা ব্যাংকটি নিতে পারবে না।
তবে এসব বিষয় ওরিয়নকে দমাতে পারেনি। এরপর গ্রুপটি অগ্রণী ব্যাংকের দ্বারস্থ হয় গত ৬ অক্টোবর, একই প্রস্তাব নিয়ে।
অগ্রণী ব্যাংক ইতিপূর্বে ওরিয়ন গ্রুপের ওই বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য সিন্ডিকেশন লোনের আওতায় তহবিল ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়। এই ধরনের ব্যবস্থায় একাধিক ব্যাংক কোনো কোম্পানিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য বড় অবয়বের ঋণের জোগান দিয়ে থাকে। এর আওতায় অগ্রণী ব্যাংক ইতোমধ্যে ১২০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক ৫৭৪ কোটি টাকা ও প্রিমিয়ার ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দেয়।
কিন্তু, ওরিয়নের এই ধরনের ঋণের প্রতি এখন আর তেমন আগ্রহ নেই, যেহেতু রিজার্ভের টাকা অনেক আকর্ষণীয়। প্রথমত, রিজার্ভ থেকে তাদের প্রস্তাবিত ঋণের সুদহার চার শতাংশ। এই হার প্রচলিত বাজার দরের নয় শতাংশের চেয়ে কম। এর চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সংকটে পড়া এই ধরনের বড় কোম্পানিগুলোকে সরকার ইতিপূর্বে বেইল আউটও করেছে।
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম অগ্রণী ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে লেখেন, ‘…আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন উদ্বৃত্ত অবস্থায় রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকার এখন মেগা প্রকল্পে রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তেমনই একটা বড় প্রকল্প। এই ধরনের উদ্যোগ দীর্ঘ মেয়াদে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে ভূমিকা রাখবে।’
সম্প্রতি রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবাহ ও আমদানি কমে যাওয়ায় রিজার্ভের অবয়ব আকর্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ অন্যান্য বহুপক্ষীয় ঋণ সংস্থার অনুমোদন করা ঋণের কারণেও রিজার্ভ বেড়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ৭ অক্টোবর ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু সরকারি প্রকল্পে রিজার্ভের টাকা ব্যবহার করার জন্য পথ খুঁজছে সরকার।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কমকর্তারা বলেন, সরকারি প্রকল্পে রিজার্ভের টাকা ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও সরকারকে গ্যারান্টি দিতে হবে।
এদিকে প্রলুব্ধ করার জন্য অগ্রণী ব্যাংককে বেশকিছু সুবিধার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ওরিয়ন। ব্যাংকটি সার্ভিস চার্জ হিসেবে ভালো কমিশন আয় করতে পারবে, যদি কোম্পানিটি রিজার্ভের টাকা বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে।
এছাড়া ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণপত্র খোলা হবে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে, সেখান থেকে কমিশনবাবদ আরও আয় করা যাবে।
অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওরিয়নের কর্মকর্তাদের এসব বিষয় নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর একটি বৈঠকও হয়। যোগাযোগ করা হলে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস্-উল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সিন্ডিকেশন লোনের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
শামস্-উল ইসলাম বলেন, ‘অগ্রণী ব্যাংক এ ব্যাপারে প্রচলিত নিয়মকানুন অনুসরণ করেই সিদ্ধান্ত নিবে।’
Comments