চেষ্টা করছি বেটার ইমেজ তৈরি করতে: স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হয়েছে গতকাল। ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সভাপতির দুটি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের একটি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। এর আগে, গত বছরের ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনে নির্মল রঞ্জন গুহকে সভাপতি ও এ কে এম আফজালুর রহমান বাবুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছিল।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে আজ মঙ্গলবার কথা হয় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু এবং প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা বিষয়ক সম্পাদক সুমন জাহিদের সঙ্গে।
এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সাবেক ছাত্রনেতা ও গত কমিটিতে যারা ছিলেন, তাদের সমন্বয়ে এবারের কমিটি গোছানোর চেষ্টা করেছি। এখানে চিকিৎসক-সমাজকর্মীরা যেমন আছেন, তেমনি ছাত্রলীগের পজিটিভ ইমেজের নেতারাও আছেন। আমরা চেষ্টা করেছি, সংগঠনকে নতুনভাবে পুনর্গঠন করে যেন কাজ করতে পারি।’
‘যেহেতু এটি সেবা, শান্তি ও প্রগতির সংগঠন, সেহেতু সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেশের যেখানেই কোনো ক্রাইসিস তৈরি হচ্ছে, আমাদের নেতা-কর্মীরা গিয়ে হাজির হচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি বেটার ইমেজ তৈরি করতে ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভনেস বাড়াতে। পজিটিভ কিছু করার চেষ্টা করছি, জানি না কতটুকু পারব, তবে ভালো কাজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব’, বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। প্রায়শই তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর ও স্পর্শকাতর অভিযোগ উঠে আসে।
সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেকোনো সংগঠনের যে কারও দ্বারাই যেকোনো অপরাধ সংগঠিত হতে পারে। তবে আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত-সাপেক্ষে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিই। এর আগেও অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি, ভবিষ্যতেও নেব।’
কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ চার পদ ফাঁকা রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগঠন এখন অনেক বেশি ফোকাস। সেহেতু পরবর্তীতে ছাত্রলীগ বা অন্য জায়গা থেকে অ্যাক্টিভ ও পজিটিভ ইমেজধারীদের দিয়ে যেন সেসব পদ পূরণ করতে পারি।’
পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায় দেরি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা বিষয়ক সম্পাদক সুমন জাহিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত কয়েকবছর ধরে “হাইব্রিড, কাক, অনুপ্রবেশকারী, টাকা বিনিময়ে কমিটিতে” এই কথাগুলো খুব রসালোভাবে আওয়ামী বিরোধীদের দ্বারা প্রচারিত হয়েছে। যার কারণে এবার সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল, যাতে কমিটিতে বিতর্কিত একটি নামও না আসে। যাচাই-বাছাই এবং করোনা মহামারির কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে দেরি হয়েছে।’
সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের জনগণের প্রতি যে দায়বদ্ধতা, সেই জায়গা থেকে স্বেচ্ছাসেবীমূলক যে কাজগুলো রয়েছে, যেমন: প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে অন্যান্য যেসব বিপর্যয় আছে, সেসময় নিঃস্বার্থভাবে মানবতার পাশে দাঁড়ানোই স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা।’
‘আগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যক্রম ফর্মেটেড ছিল না। আশা করছি এই কমিটির পর থেকে স্বেচ্ছাসেবক বলতে যে বিষয়টি বুঝায়, সেটি আমাদের সব নেতা-কর্মীরা বুকে ধারণ করতে পারবেন এবং সেই শিক্ষা নিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা-কর্মীরা সর্বদা পাশে থাকবেন।’
Comments