সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ বিশ্বের দ্রুততম মানব কোলম্যান

christian coleman
ছবি: এএফপি

তৃতীয়বারের মতো ডোপ টেস্টে অনুপস্থিত থাকায় সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বর্তমান বিশ্বের দ্রুততম মানব ক্রিস্টিয়ান কোলম্যানকে। ১০০ মিটারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের এই স্প্রিন্টার কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা বা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।

বুধবার বিশ্ব অ্যাথলেটিকস সংস্থার ডোপিং বিরোধী শাখা অ্যাথলেটিকস ইনটেগ্রিটি ইউনিট (এআইইউ) কোলম্যানের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তারা জানিয়েছে, ১২ মাসের মধ্যে তিনবার নিজের অবস্থান সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই আমেরিকান। সবশেষ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর। এর আগে একই বছরের ১৬ জানুয়ারি ও ২৬ এপ্রিল নিজের খোঁজ জানাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি।

গেল সেপ্টেম্বরে কাতারের দোহায় বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে স্বদেশি জাস্টিন গ্যাটলিনকে পেছনে ফেলে স্বর্ণ পদক জেতেন কোলম্যান। ৯.৭৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেন তিনি। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের ইতিহাসে এটি ষষ্ঠ সেরা টাইমিং। অর্থাৎ তিনি কেবল বর্তমান বিশ্বের দ্রুততম মানব-ই নন, সর্বকালের ষষ্ঠ সেরা দ্রুততম স্প্রিন্টারও।

কোলম্যান অবশ্য দাবি করেছেন, শেষবার তিনি বড়দিনের কেনাকাটা করতে নিজের বাড়ি থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থান করছিলেন এবং যিনি ডোপ পরীক্ষা করবেন, তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগের তেমন কোনো চেষ্টা করেননি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেছেন, ‘পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করে এমন কোনো সম্পূরক বস্তু বা ওষুধ আমি কখনো গ্রহণ করিনি এবং কখনো করব না।’

তিনি যোগ করেছেন, ‘নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য দরকার হলে আমার পুরো ক্যারিয়ারের প্রতিটি দিনেই একবার করে পরীক্ষা দিতে আমি রাজি আছি।’

কোলম্যানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে আরও বড় ধরনের শাস্তি পেতে হবে তাকে। দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবেন তিনি। সেক্ষেত্রে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।

অ্যাথলেটদের খোঁজ রাখার ব্যাপারে বিশ্ব ডোপিং বিরোধী এজেন্সির (ওয়াডা) সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা রয়েছে। সেখানে তারা কখন, কোথায় থাকবেন ও প্রশিক্ষণ নেবেন তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে।

১২ মাসের মধ্যে সবিমিলিয়ে তিনবার কেউ যদি ডোপ টেস্টে অনুপস্থিত থাকেন বা খোঁজ জানাতে ব্যর্থ হন, তাহলে একে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সাজা দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

8m ago