জাতিগত অবিচার আর মেনে নেওয়া যায় না: জর্ডান

michael jordan
ছবি: এএফপি

আফ্রিকান-আমেরিকান নাগরিকরা বছরের পর বছর ধরে জাতিগত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে এই অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি বাস্কেটবল তারকা মাইকেল জর্ডান।

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে গড়ে ওঠা বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে এরই মধ্যে সংহতি প্রকাশ করেছেন ৫৭ বছর বয়সী এই সাবেক খেলোয়াড়।

সোমবার আমেরিকান গণমাধ্যম শার্লট অবজারভারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বলেছেন জর্ডান, ‘আমরা (আফ্রিকান-আমেরিকানরা) বহু বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।... এটা (জাতিগত অবিচার) আপনার আত্মাকে নিঃশেষ করে দেয়। এটা আর মেনে নেওয়া যায় না। এটা চূড়ান্ত সীমায় গিয়ে পৌঁছেছে। আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। (জাতিগত সমতা নিশ্চিত করতে) আমাদের একটি ভালো সমাজ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।’

ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এনবিএ) দল শিকাগো বুলসের সাবেক এই তারকা গেল সপ্তাহে ১০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। জাতিগত সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য। তিনি এবং তার জর্ডান ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে আগামী ১০ বছর ধরে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে।

গেল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস রাজ্যে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা অপরাধী সন্দেহে রাস্তার মাঝেই নির্যাতন চালান আফ্রিকান-আমেরিকান ফ্লয়েডের উপর। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় ৪৬ বছর বয়সী সাবেক এই বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রায় নয় মিনিট ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে রাখা হয়েছিল। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সারা বিশ্বের বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষের সঙ্গে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন ক্রীড়াবিদরাও।

ভুক্তভোগীদের উদ্দেশ্যে ১৪ বার এনবিএ’র মৌসুম সেরা দলে জায়গা করে নেওয়া জর্ডান আরও বলেছেন, ‘আপনার ভয়কে মোকাবিলা করুন। (একে অন্যের প্রতি) হাত বাড়িয়ে দিন। অসমতাগুলোকে বুঝতে শুরু করুন। অবশ্যই, আমরা পুলিশের কাছ থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করি। তবে আরও অনেক বিষয় আছে। কারণ, আমরা দেখেছি যে, কিছু কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় বর্ণবাদ গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে থাকে।’

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

55m ago