ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: শিশুরা কতক্ষণ স্ক্রিনের সামনে থাকছে, খেয়াল রাখুন
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মানুষ এখন বাধ্য হয়েই ঘরে থাকছেন। যে কারণে ব্যাহত হচ্ছে জনসাধারণের দৈনন্দিন কার্যক্রম।
শাটডাউনের এ সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্যের উৎস হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট। এটির মাধ্যমেই যারা বাড়ি থেকেই কাজ করছেন, তারা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছেন।
পাশাপাশি, এই সংকটের সময় শিশুদের জীবনেও জায়গা করে নিয়েছে ইন্টারনেট। যেহেতু তাদের স্কুল এখন বন্ধ এবং তারা বাইরে গিয়েও খেলাধুলা করতে পারছে না, তাই স্ক্রিনের সামনেই বেশি সময় ব্যয় করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিক্ষণ স্ক্রিনের সামনে থাকলে এটি শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
তারা বলেন, শিশুরা স্ক্রিনের সামনে বেশি সময় কাটালে হয়তো অনেক বাবা-মায়েরা চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু, বেশি সময় ধরে স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার যে ক্ষতি, তা কমানোর ব্যবস্থাও তারা নিতে পারেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি অ্যান্ড অটিজম বিভাগের মেডিকেল অফিসার চৌধুরী রেহনুমা তাবাসসুম বলেন, ‘শিশুরা স্ক্রিনের সামনে কত সময় ব্যয় করবে, সেটি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। ভিডিও গেমস খেলার জন্য শিশুদের খুব বেশি সময় স্ক্রিনের সামনে ব্যয় করতে দেওয়াটা স্বাস্থ্যকর নয়।’
২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ভিডিও গেমসের প্রতি আসক্তিকে এক ধরনের রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
চৌধুরী রেহনুমা তাবাসসুমের মতে, এই সময়টাতে বাবা-মায়ের উচিত শিশুদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা।
‘ব্যস্ত জীবনে আমরা আমাদের সন্তানদের সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটাতে পারি না। তাই এই অবসর সময়টি তাদের সঙ্গে কথা বলে, গল্প ও খেলাধুলা করে কাটানো যেতে পারে’, বলেন তিনি।
রেহনুমা বলেন, ‘প্রথমেই শিশুদের জন্য নতুন একটি রুটিন তৈরি করতে হবে। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এটি তৈরি করতে হবে। কারণ, এটি তৈরিতে তারা তাদের ইচ্ছা জানাতে পারলে, নতুন রুটিনটি আয়ত্ত করাটা তাদের জন্য সহজ হবে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু, হঠাৎ করেই শিশুদের স্ক্রিনের সামনে যাওয়াটা একেবারে বন্ধ করে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত নয়। ক্রমান্বয়ে এটি করতে হবে।’
তার মতে, অনলাইনে শিশুদের ভিডিও গেমস খেলার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া যেতে পারে। নির্ধারিত সময়ের শুরুতে ও শেষে হয়তো একটা সংকেত কিংবা অ্যালার্ম সেট করে দেওয়া হলো।
Comments