ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নিন

ছবি: সংগৃহীত

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে, দুর্বল হয়ে পরে। তাই করোনাভাইরাসের প্রকোপের সময় প্রবীণদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে ডা. তানভীর আহমেদ প্রবীণদের জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত জটিলতার কারণে প্রবীণরা নিয়মিত ওষুধ খান। তাদের নিয়মিত ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস মজুদ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রবীণদের ঘন ঘন হাত ধোয়া উচিত। সম্ভব হলে বাথরুম সংযুক্ত একটি ঘরে তাদের আলাদা রাখতে হবে। এই মুহূর্তে নিরাপত্তার জন্য তাদের পরিবারের অন্য সদস্য এবং শিশুদের কাছ থেকে দূরে থাকা উচিত।

নিরাপত্তার জন্য খাবার, পানির বোতল, বাসনপত্র ও অন্যান্য ব্যক্তিগত সামগ্রী পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শেয়ার করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন ডা. তানভীর।

তিনি পরামর্শ দেন, পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের নিয়মিত মেডিকেল চেকআপে এবং অত্যাবশ্যকীয় না হলে ডাক্তার দেখাতে যাওয়া ঠিক হবে না। এ সময় তাদের বাড়ির বাইরে যাওয়াই উচিত নয়। প্রয়োজনে মুদি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী হোম ডেলিভারি নেওয়া উচিত।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, ‘ভাইরাস থেকে প্রবীণদের রক্ষা করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। তারা আমাদের পরিবার ও সমাজের মূল্যবান সদস্য। তারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে গুরুতর অবস্থা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবীণরা আমাদের সমাজের অভিজ্ঞতার বাহক। তাদের খাদ্য, ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করুন।’

শারীরিক দূরত্ব মানে সামাজিক দূরত্ব নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ডা. টেড্রস বলেন, ‘আমাদের সকলের উচিত প্রবীণ বাবা-মা, প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজন যারা একা থাকেন বা বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন তাদের খোঁজখবর নেওয়া। যাতে তারা বুঝতে পারেন তাদের আমরা কতটা ভালোবাসি এবং মূল্যায়ন করি।’

Comments

The Daily Star  | English

Top criminals on extortion spree

In November last year, a contractor secured the work to demolish a building in Dhaka’s Moghbazar for Tk 16.5 lakh. Shortly afterwards, members of a local gang arrived at the site and demanded Tk 3 lakh to allow the work to proceed.

5h ago