ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: অনলাইনে শিখুন নতুন কিছু
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ করতে কার্যকর পদ্ধতি সেলফ আইসোলেশন ও সামাজিক দূরত্ব। পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে তা আমরা জানি না। তবে নিরাপদে ঘরে থাকার এই সময়টা আমরা কাজে লাগাতে পারি অনলাইনে নতুন কিছু শিখে।
বিশিষ্ট আবৃত্তিকার হাসান আরিফ জানান, কিছুই না করে ঘরে এতদিন থাকা অসম্ভব। সৃজনশীল কাজে যুক্ত হলে ঘরে থাকা এই সময়টাও দারুণ হয়ে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি উদ্যোগ নিয়েছি। আবৃত্তি শেখাচ্ছি অনেককে। এভাবে অনেকেই অনেক কিছু করতে পারে। গায়করা যেমন অনলাইনে শেখাতে পারেন জনপ্রিয় গানের খুঁটিনাটি। সেখানে শ্রোতারা সংযুক্ত থাকতে পারে।’
তিনি আরও জানান, তার বেশিরভাগ অনলাইন শিক্ষার্থী বয় স্কাউট ও গার্ল গাইড।
এই ধরনের জটিল সময়ে অনলাইন কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করতে পারে। সেই সঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গৃহশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। করোনাভাইরাসের উদ্বেগের কারণে তাদের কাজ বন্ধ। আয় কমে যাওয়ায় অনেকেই মোবাইল ডেটা কিনতে না পেরে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।’
লোক সংগীতশিল্পীদের অনলাইনে করোনাভাইরাসের বিপদ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘লোক শিল্পীরা খুব কঠিন সময় কাটাচ্ছেন। সুতরাং তাদের জন্য অনলাইনে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে এবং তাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারের মোবাইল ডাটা বিনামূল্যে দেওয়া উচিত।’
মানুষ তাদের সময় ভার্চুয়াল দুনিয়ায় অর্থবহভাবে ব্যয় করতে পারে। সংগীত, কম্পিউটার, নাচ, রান্নাসহ নানান বিষয়ে হাজার হাজার অনলাইন কোর্স রয়েছে। হাসান আরিফ বলেন, ‘ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস করে নিজেদের সমৃদ্ধ করা যেতে পারে।’
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সব ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে আরিফ বলেন, ‘অনেক শিল্পী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ভেরিফাইড পেজে গান করছেন। এতে সাধারণ মানুষ তাদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকছেন।’
বাংলাদেশি মানুষ আড্ডা দিতে পছন্দ করেন। এই বিপদজনক সময়ে যেহেতু ঘরে থাকাই একমাত্র নিরাপদ উপায় তাই আড্ডা হতে পারে অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে।
Comments