ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: ঘর যেভাবে জীবাণুমুক্ত রাখবেন
প্রত্যেকের কাছেই নিজের বাড়ি নিরাপদ। এতটাই নিরাপদ যেখানে খুব নিশ্চিন্তে থাকা যায়। কিন্তু, আপনারই খোলা হাত, জুতা, পোশাক ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে আসতে পারে জীবাণু।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, পরিষ্কার করা ও জীবাণুমুক্ত করা আলাদা বিষয়। ধুলা-ময়লা দূর করা হচ্ছে পরিষ্কার করা। কিন্তু, কোনো কিছুতে জীবাণু থাকলে তা দূর করা ভিন্ন রকমের কাজ।
বিভিন্নস্থানে ভাইরাস বিভিন্ন সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে। ঘর-বাড়ি দেখতে পরিষ্কার মনে হলেও সেখানে থেকে যেতে পারে জীবাণু, যা স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পরিবারকে রক্ষার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ঘর সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করা। ঘর-বাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা নির্ভর করে মানুষের পরিস্থিতি ও চারপাশে কী ঘটছে তার উপর।
পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ নাও থাকে, তারপরও সতর্কতা হিসেবে প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা উচিৎ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিষ্কার করা ও জীবাণুমুক্ত করার মধ্যে পার্থক্য আছে। নিয়মিত ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করা উচিত। যার মাধ্যমে ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করতে পারবেন। এর জন্য বাজারে পরিষ্কার করার পণ্য নিয়মিত যেসব পাওয়া যায় সেগুলোই যথেষ্ট।’
তার পরামর্শ, পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে এমন জায়গাগুলোতে মনোনিবেশ করতে হবে, যেগুলো সবার সংস্পর্শে বেশি আসে। দরজার হাতল, বৈদ্যুতিক সুইচ, টেবিল, ফোন, কিবোর্ড, টয়লেট, কিচেন সিংকের মতো বারবার ধরা হয় এমন স্থানগুলো গরম পানি ও কোনো ভালো জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করার পরামর্শও দিয়েছেন রফিকুল ইসলাম।
যেকোনো কিছু জীবাণুমুক্ত করার আগে গ্লাভস পরা উচিত এবং যেকোনো কিছু পরিষ্কার বা জীবাণুমুক্ত করার পর হাত সাবান ও গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জীবাণুনাশক ব্যবহার করার পর আপনাকে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।’
জীবাণুর সবচেয়ে বেশি দেখা পাওয়া যায় রান্নাঘরে বা যেখানেই খাবার তৈরি করা হয় সেখানে। কিংবা, যেসব পাত্রে খাবার পরিবহন করা হয় সেখানেও জীবাণুদের অভয়াশ্রম। তাই, বাজারের ব্যাগ বারবার ব্যবহার না করাই ভালো।
এই মাইক্রোবায়োলজিস্ট বলেন, ‘বাইরে না গেলেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। আর এই সময় বাড়িতে অতিথিদের আসতে নিরুৎসাহিত করা ভালো।’
Comments