ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: প্রবীণদের যত্ন নিন

করোনাভাইরাসে ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন।

করোনাভাইরাসের কারণে সারা পৃথিবী জুড়েই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা থেকে পাওয়া গেছে কয়েকটি পরিসংখ্যান। এর মধ্যে একটি হলো, এই ভাইরাসের সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে প্রবীণদের। দ্বিতীয় আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, যারা মারা গেছেন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত ছিলেন।  Worldometers.info এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫০ বছরের বেশি বয়সের সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার এক দশমিক তিন শতাংশ। এই হার ৮০ বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ২১ দশমিক নয় শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, সামগ্রিক ভাবে ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী ৬০ ঊর্ধ্ব কেউ যদি করোনায় সংক্রমিত হন, তাহলে তার উপসর্গগুলো মারাত্মক ও প্রাণঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাড়ির কোনো নিশ্চিত করোনাভাইরাস রোগী না থাকলেও প্রবীণদের কিছুদিন দূরে রাখারই পরামর্শ দিয়েছেন একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘একজন তরুণ এই ভাইরাসের বাহক হতে পারে, কিন্তু প্রবীণদের জন্য ভাইরাসটি মারাত্মক হতে পারে। তাই, দূরত্ব রাখুন এবং সম্ভব হলে তাদেরকে আইসোলেশনে রাখুন।’

তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রবীণদের আইসোলেশনে রাখা সবচেয়ে ভালো। একই বাড়িতে থেকেও প্রয়োজনে প্রবীণরা অন্য সদস্যদের সঙ্গে ফোন কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।

নাজমুল হাসান বলেন, ‘বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে থাকে। এ কারণেই প্রবীণদের বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগতে দেখা যায়। তাই, তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে তা তাদের জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।’

তাদের যদি নিয়মিত চেকআপে নেওয়ার সময় হয়ে থাকে, তাহলে এই মূহুর্তে সম্ভব হলে তা এড়িয়ে যাওয়া ভালো। নাজমুল হাসান বলেন, ‘যদি শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকে তাহলে নির্ধারিত ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে পুনরায় চেকআপ করার আগ পর্যন্ত। সম্ভব হলে ডাক্তারের সঙ্গে ফোনে কিংবা টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে ওষুধের কোনো পরিবর্তন করতে হলে তা করে নিতে পারেন।’

পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের জন্য অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. নাজমুল। তিনি বলেন, ‘পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাওয়া ও ব্যায়ামসহ ভালো অভ্যাস বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া উচিত।’

এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞর মতে, সুষম খাদ্য ও সঠিক ঘুম তাদের জন্য জরুরি। প্রবীণরা ধর্মীয় উপাসনায়, নাটক-সিনেমা দেখে এবং যাদের লেখালেখি করার অভ্যাস আছে তারা লেখে সময় কাটাতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English
 Impact of higher interest rates bangladesh

Rising interest rates deter new investment, expansion plans

Rising rates are creating headwinds for at least 40 listed conglomerates

11h ago