ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন: সন্তানদের শেখান স্বাস্থ্যবিধি, নৈতিকতা

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সারা দেশে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাচ্চারা ঘরে। তাদেরকে নৈতিকতা ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি শেখানো ও লোকগল্প শোনানোর এটাই হতে পারে উপযুক্ত সময়।

বেশ দীর্ঘ এই বন্ধের সময় ঘরে থাকা বাচ্চাদের জন্য কষ্টের, বিশেষ করে যারা অত্যন্ত চঞ্চল। সেই সঙ্গে স্কুলের সহপাঠী ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে না পারায় সময় কাটানো তাদের জন্য আরও কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বাবা-মায়েরা সন্তানদের নৈতিকতা শেখানোর জন্য সাধারণত খুব কম সময় পান। এটা বাবা-মায়ের জন্য উপযুক্ত সময় সন্তানদের বেশি করে সময় দেওয়ার।’

তিনি জানান, কোন বিষয়ে পড়াশুনা হবে তা নির্ধারণ করে একটি সময়সূচী তৈরি করে নিতে হবে। যাতে পরিবারের প্রত্যেকে জানতে পারে এখন কি হচ্ছে এবং এরপর কি করতে হবে। বাচ্চারা তাদের ক্লাসরুমে একটি সময়সূচির মধ্যেই থাকে। তাই বাড়িতে এ ধরনের সময়সূচি নির্ধারণ করে নিলে বন্ধের শেষে স্কুলে ফিরে তাদের শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী হওয়া সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে আনন্দ করার জন্য সময় বের করে নিতে পারেন। তাদের চিন্তা আরও সমৃদ্ধ করতে গল্প ও কবিতা শোনাতে পারেন।’

এই শিক্ষাবিদের মতে, যেহেতু হাতে প্রচুর সময় আছে, বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের নিয়মিত পড়াশুনাতেও সাহায্য করতে পারেন। বাচ্চাদের আরও পড়তে ও লিখতে উত্সাহিত করতে পারেন।

পাঠ্যক্রম বিশেষজ্ঞ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রচলিত না হলেও অনলাইন স্কুলিং বা দূরশিক্ষণ এ সময় কাজে দিতে পারে। অনেক দেশই এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।’

‘ইন্টারনেটে অনেক অনলাইন পাঠ আছে। বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের জন্য তা বেছে দিতে পারেন। তাদের আনন্দ করার ও খেলার জন্যও সময় থাকতে হবে। তারা খেলার মাধ্যমেও শিখতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।

সবচেয়ে বড় কথা, বাচ্চারা যেন এই দীর্ঘ ছুটির সময় ঘরে বন্দি থেকে বিষণ্ণ বা মনমরা না হয়ে যায় তা নিশ্চিত করা দরকার।

Comments

The Daily Star  | English

India’s fencing along border ‘unauthorised’

Dhaka has told New Delhi that such activities will hurt bilateral ties

11h ago