শ্রদ্ধাঞ্জলি

চলে গেলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ার কারিগর

fazle-abed.jpg
স্যার ফজলে হাসান আবেদ। স্টার ফাইল ছবি

স্যার ফজলে হাসান আবেদ জন্মেছিলেন ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল। চলে গেলেন ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর। রেখে গেলেন ব্র্যাক। তার স্বপ্ন, তার প্রতিষ্ঠান।

জন্মস্থানের সঙ্গে তার কর্মক্ষেত্রের একটা দারুণ মিল পরিলক্ষিত হয়। হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং গ্রামের জমিদার পরিবারের কথা বলছি। এই জমিদার পরিবারের সন্তান স্যার ফজলে হাসান আবেদ। বানিয়াচং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম। ফজলে হাসান আবেদের গড়া প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়া, আফ্রিকার অনেকগুলো দেশে দরিদ্র মানুষের জন্যে কাজ করছে ব্র্যাক।

দরিদ্র মানুষের জন্যে কিছু করার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন মা সৈয়দা সুফিয়া খাতুনের কাছ থেকে। এছাড়া তার জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছেন চাচা সায়ীদুল হাসান। একাত্তরে আর পি সাহাকে পাক বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে চাচা সায়ীদুল হাসান ধরা পড়েন পাক বাহিনীর হাতে। ধারণা করা হয় পাক বাহিনী তাকে হত্যা করে। দায়িত্বশীল হওয়ার ক্ষেত্রে তার জীবনে বড় ভূমিকা রেখেছেন বাবা সিদ্দিক হাসান।

পাহাড়সম উচ্চতার এই মানুষটি কত সহজ-সরল ও সাধাসিধেভাবে মানুষের সঙ্গে, গরীব মানুষের সঙ্গে মিশতে পারতেন, তা না দেখা থাকলে লিখে বোঝানো কঠিন।

3.jpg
১৯৭২ সালে মার্কুলিতে ফজলে হাসান আবেদ। ছবি: ‘ফজলে হাসান আবেদ ও ব্র্যাক’ বই থেকে

জমিদার পরিবারে বিত্ত-বৈভবের মধ্যেই তার জন্ম। কিন্তু তিনি মনোযোগী ছিলেন লেখাপড়ায়। পারিবারিক প্রভাব নিশ্চয় পড়েছিল তার উপর। খান বাহাদুর রফিকুল হাসানের চার পুত্র ও এক কন্যার মধ্যে ফজলে হাসান আবেদের বাবা সিদ্দিক হাসান ছিলেন সবার বড়। মেজো চাচা রাশিদুল হাসান ছিলেন জেলা জজ। আরেক চাচা ওবায়দুল হাসান ছিলেন প্রখ্যাত ডেন্টিস্ট। আরেক চাচা সায়ীদুল হাসান ১৯৫৪ সালে লন্ডনে পাকিস্তান দূতাবাসের বাণিজ্য সচিব ছিলেন।

ফজলে হাসান আবেদের বাবার মামা নওয়াব জাস্টিস স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা কলকাতার প্রখ্যাত আইনজীবী ছিলেন। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা। ফজলে হাসান আবেদের বাবা-চাচারা লেখাপড়া করেছেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল ও কলেজে।

নানা খান বাহাদুর সৈয়দ মোয়াজ্জেম উদ্দীন হোসেন অবিভক্ত বাংলার  মন্ত্রী ছিলেন।

ফজলে হাসান আবেদ যখন হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র, তার বাবা তখন ডিস্ট্রিক্ট সাবরেজিষ্টার। বড় সন্তান হওয়ায় পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্যে লেখাপড়া শেষে হবিগঞ্জে ফিরে আসতে হয়েছিলো। দেশ ভাগের ঠিক আগে তিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পরিবারসহ বানিয়াচং গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন।

ফজলে হাসান আবেদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কুমিল্লা জেলা জজ মেজো চাচা রাশিদুল হাসানের কাছে। কুমিল্লা জেলা স্কুলে পড়লেন দুই বছর। চাচা পাবনা বদলি হলেন। তিনি চাচার সঙ্গে পাবনায় গিয়ে ভর্তি হলেন পাবনা জেলা স্কুলে। ম্যাট্রিক পাশ করলেন ১৯৫২ সালে।

১৯৫৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ফিজিক্সে। কয়েক মাস পর চাচা সায়ীদুল হাসানের পরামর্শে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেন নেভাল আর্কিটেকচারে। দেড় বছর পর তার মনে হলো, নেভাল আর্কিটেক্ট হলে দেশে ফিরে এই শিক্ষাটা কাজে লাগানো যাবে না। ৪ বছরের কোর্স শেষ না করে, দু’বছরের মাথায় লন্ডনে চলে এলেন। ভর্তি হলেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে।

1.jpg
বাম থেকে ডানে (উপবিষ্ট): ফজলে হাসান আবেদের পিতা মরহুম সিদ্দিক হাসান, তদীয় মামা মরহুম নওয়াব জাস্টিস স্যার শামসুল হুদা কে.সি.আই.ই, চাচা মরহুম আতিকুল হাসান। ছবি: ‘ফজলে হাসান আবেদ ও ব্র্যাক’ বই থেকে

 ১৯৬২ সালে কোর্স শেষ করলেন। ১৯৫৮ সালে মা মারা যাওয়ায় দেশে ফেরার তাগিদটা কমে গেলো। চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্ট হিসেবে লন্ডনে চাকরি করলেন কিছুদিন। লন্ডন থেকে চলে গেলেন কানাডা। সেখানে চাকরি করলেন কিছুদিন। তারপর নিউইয়র্কে এসে আরও কিছুদিন চাকরি করলেন।

এক দেশ থেকে আরেক দেশ, অনেক টাকা বেতনের চাকরি। সেসব বাদ দিয়ে ১৯৬৮ সালে দেশে ফিরে এলেন। ‘শেল অয়েল’ কোম্পানির হেড অব ফাইনান্স হিসেবে চাকরি করতে শুরু করলেন। দেশে আন্দোলন দানা বাঁধছে।

সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ের পর কাজ করতে চলে গেলেন মনপুরায়। ৪ মাস পর শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ। টিক্কা খান সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তেল কোম্পানি থেকে লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের অফিসে একজনকে বসানো হবে এবং তাকেই বসানো হলো। দুই তিন দিন সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের অফিসে বসেই সিদ্ধান্ত নিলেন, ইংল্যান্ডে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রাখবেন। কারণ ইংল্যান্ডে তার পরিচিত জায়গা, অনেক বন্ধু আছেন। ভারতের চেয়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে তার পক্ষে কাজ করা সহজ হবে।

কিন্তু ইংল্যান্ড যাওয়া তখন খুব কঠিন। প্রতি পদে পদে বাধা পেরিয়ে ঢাকা থেকে করাচি। করাচি থেকে ইসলামাবাদে গিয়ে আইএসআই’র হাতে আটক হলেন। পাকিস্তান সরকারের উপসচিব বন্ধু আসাফউদ্দৌলাহর সহায়তায় ছাড়া পেলেন। ‘শেল’থেকে অনুমতি না নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন। শেল’র ঢাকা অফিস থেকে আইএসআইকে জানানো হয় যে, তিনি দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। সেই সময় এটা ছিল সবচেয়ে বেশি বেতনের চাকরিগুলোর একটি। তখন তিনি বেতন পেতেন ৪ হাজার ১০০ টাকা।

আইএসআই অফিসারের বিস্ময় ছিলো, এতো টাকা বেতনের চাকরি থেকে না বলে চলে এসেছ কেনো! মুক্তি পেলেন কয়েকদিন পর। লুকিয়ে ইসলামাবাদ থেকে চলে গেলেন ট্যাক্সিতে পেশোয়ার। সেখান থেকে বাসে খাইবার পাস চেকপোস্ট দিয়ে আফগানিস্তান। আরেক বাসে জালালাবাদ। আরেক বাসে কাবুল। ‘কাবুল হোটেলে’ কয়েকদিন থেকে, টেলিগ্রাম করে ইংল্যান্ড থেকে টিকেট আনিয়ে ইস্তানবুল হয়ে লন্ডন। গিয়ে দেখেন তার বন্ধুরা ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন তৈরির চেষ্টা করছেন। সবাই মিলে ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ গড়ে তুললেন।

2.jpg
ফজলে হাসান আবেদের মাতা সৈয়দ সুফিয়া খাতুন। ছবি: ‘ফজলে হাসান আবেদ ও ব্র্যাক’ বই থেকে

ক.

ব্র্যাক প্রসঙ্গে আসার আগে, আরও কিছু কথা বলে নেওয়া দরকার। ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’র ব্যানারে শুধু ইংল্যান্ডে নয় ইউরোপের অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালাতে শুরু করলেন। শুধু প্রচারণা নয়, মুক্তিযুদ্ধের জন্যে আর্থিক সহায়তা দরকার। গড়ে তুললেন ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে আরেকটি সংগঠন। ব্যাপক সাড়া পেলেন। ইউরোপের বাঙালিরা তো সহায়তা করার জন্যে এগিয়ে এলেনই, কতো বিদেশি যে কতোভাবে সহায়তা করলেন।

ফজলে হাসান আবেদের বান্ধবী ম্যারিয়েটা অসাধারণভাবে সহায়তা করেছেন অর্থ সংগ্রহ এবং প্রচারণার কাজে। সেই সময়ের একটি অভিজ্ঞতা সরাসরি ফজলে হাসান আবেদের মুখ থেকে: “একজন ব্রিটিশ মহিলা এক পাউন্ড পাঠিয়ে লিখেছিলেন, আগামী দু’মাস আমি ডিম খাবো না। সেই ডিমের টাকাটা আমি তোমাদের দিলাম। এই মহিলার সঙ্গে আমার কোনোদিন দেখা হয়নি।”

মাত্র একটি পাউন্ড! কতোটা হৃদয় স্পর্শ করে যায়!! এই ব্রিটিশ নারী নিশ্চয় দেখে গিয়েছিলেন তার দেওয়া এক পাউন্ড কাজে লেগেছিলো। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন।

খ.

১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফজলে হাসান ও বন্ধু ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী কলকাতায় এলেন যুদ্ধদিনের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে কথা বলার উদ্দেশে। লন্ডনে তাদের সঙ্গে এমন একটি গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিলো, যারা ভিয়েতনামের পক্ষে ভাড়াটে যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছিলেন। তারা পাকিস্তানের কোনো বন্দরে বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানে বড় আকারের বিস্ফোরণ ঘটাবে। এর জন্যে তাদের দিতে হবে ১৬ হাজার ৮০০ পাউন্ড। এই প্রস্তাব শুনে তাজউদ্দীন আহমেদ বললেন, “দেখুন এ ধরনের অভিযান সফল হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। তাই এই কাজে এতো টাকা ব্যয় করা ঠিক হবে না। আমরা খুবই আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে আছি। একেবারেই চলতে পারছি না। ভারত সরকারের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল আমরা। তারা আমাদের অনেক কিছু দিচ্ছেন, আবার অনেক কিছু দিচ্ছেন না। আপনাদের সংগৃহীত টাকা পেলে আমাদের যুদ্ধ আমরা নিজেরাই করতে পারবো। ভাড়াটে লোকের প্রয়োজন হবে না। তাজউদ্দীন আহমদকে সেদিন একজন নিরহঙ্কার, অমায়িক ও আদর্শবান রাজনৈতিক নেতা হিসেবে মনে হয়েছিলো।”

গ.

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেলো। ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী তখন শিলংয়ে অবস্থান করছিলেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিলেটে খাদ্য পাঠানোর জন্যে আসাম সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী সিলেটে ঢুকলেন। ফজলে হাসান আবেদ লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরে এলেন ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি।

সিলেটের শাল্লা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। পাকিস্তানিরা পুরো এলাকা ধ্বংস করে ফেলেছিলো। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এই এলাকায় কাজ শুরু করলেন। ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের জন্যে কাজ করছিলেন। এবার সদ্য স্বাধীন দেশে, দেশের সব হারানো মানুষের জন্যে কাজ। একটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। গ্রামের মানুষের জন্যে কাজ, তাই নাম দিলেন, ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাসিস্ট্যান্স কমিটি’ সংক্ষেপে ‘ব্র্যাক’।

4.jpg
মুক্তিযুদ্ধকালে লন্ডনের রাস্তায় ‘হেলপ বাংলাদেশ’-এর শোভাযাত্রায় ফজলে হাসান আবেদ (শাড়িপরিহিতার পেছনে)। ছবি: ‘ফজলে হাসান আবেদ ও ব্র্যাক’ বই থেকে

ঘ.

কাজ করার জন্যে অর্থ দরকার। কিন্তু অর্থ নেই। ভিকারুল ইসলাম চৌধুরীর কোলকাতার অ্যাকাউন্টে ছিলো ২৫ হাজার রুপি। প্রয়োজনের তুলনায় যা খুবই কম। ইংল্যান্ডে ফজলে হাসান আবেদের একটি ফ্ল্যাট ছিলো। সেটা বিক্রি করে ৬ হাজার ৮০০ পাউন্ড ব্যাংকে রেখেছিলেন, চাকরি না করেও সামনের তিন চার বছর চলার কথা চিন্তা করে। ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী কোলকাতার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার রূপি, যে টাকা ইউরোপ থেকে সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিলো- তুলে নিয়ে এলেন।

ফজলে হাসান আবেদ লন্ডনে তার অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নিয়ে এলেন ফ্ল্যাট বিক্রির পুরো ৬ হাজার ৮০০ পাউন্ড। সেই অর্থ দিয়ে ‘ব্র্যাক’র কাজ শুরু হলো যুদ্ধ বিধ্বস্ত শাল্লায়। তারপর রৌমারিসহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের সর্বত্র। জমিদারের সন্তান নিজের অর্জিত অর্থ দিয়ে শুরু করলেন ব্র্যাকের কার্যক্রম। আজকের ব্র্যাক নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ব্র্যাকের কার্যক্রম শুধু বাংলাদেশে নয়, আফগানিস্তান থেকে হাইতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।

ঙ.

একদা জমিদার পুত্র ফজলে হাসান আবেদ নিজের নামে কোনো সম্পদ করেননি। তার কোনো বাড়ি-গাড়ি নেই। সব সম্পদ ব্র্যাকের। তার অবর্তমানে কোনো সম্পদ তার স্ত্রী-সন্তানরা পাবেন না। সব কিছুর মালিক ব্র্যাক। একজন মানুষ সারা জীবন দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ করেছেন, গরীব মানুষের জন্যে কাজ করেছেন, নিজের বা সন্তানদের জন্যে কোনো সম্পদ করেননি।

চ.

মুক্তিযুদ্ধের ফসল ‘ব্রাক’র বয়স এখন ৪৯ বছর। ফজলে হাসান আবেদ চলে গেলেন ৮৩ বছর বয়সে। প্রতিষ্ঠানের যৌবন, টিপটপ স্মার্ট চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট আজ থেকে আর শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে থাকলেন না। নোবেল ছাড়া পৃথিবীর প্রায় সব পুরস্কার- সম্মান পেয়েছেন। ‘নাইট’ উপাধির পর তার নামের আগে যোগ হয়েছে ‘স্যার’।

কিন্তু, স্যার ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাকের একজন পরিছন্ন কর্মীর কাছেও ‘আবেদ ভাই’ হিসেবে পরিচিত।

এক জীবনে একজন মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে গেলেন।

গোলাম মোর্তোজা: ‘ফজলে হাসান আবেদ ও ব্র্যাক’ বইয়ের লেখক।

s.mortoza@gmail.com

 

আরও পড়ুন: 

তুমি আমাদের চিরসাথী

মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, ব্র্যাক শুরু করার সময় এই ছিলো একমাত্র চিন্তা

স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই

Comments

The Daily Star  | English

Family reunited after 18 years

Stranded in Malaysia, man finally comes back home

50m ago