এসএ গেমসে বাংলাদেশের প্রথম পদক এল কারাতে ইভেন্টে
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর (এসএ গেমস) এর ১৩তম আসরে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম পদক জিতলেন হুমায়রা আক্তার। মেয়েদের একক কারাতে ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছে পাকিস্তান, রৌপ্য পদক পেয়েছে নেপাল। পরে ছেলেদের একই ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ পেয়েছে বাংলাদেশ।
ছেলেদের একক কাতাতে হাসান খান বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন ব্রোঞ্জ পদক। মেয়েদের দলীয় কাতাতেও ব্রোঞ্জ পেয়েছে বাংলাদেশ। এসএ গেমসের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের ঝুলিতে জমা পড়ল তাই তিনটি পদক।
আগের দিন উদ্বোধন হওয়ার পর এদিনই শুরু হয় ইভেন্ট। তাতে প্রথম স্বর্ণ জিতে পাকিস্তান। পাকিস্তানের শাহিদা নেপালের চঞ্চলা ধনুশ্বরকে হারিয়ে মেয়েদের একক কাতায় জেতেন স্বর্ণ। এই ইভেন্টেই ব্রোঞ্জ জেতেন বাংলাদেশের হুমায়রা।
পদক জেতার পর প্রতিক্রিয়ায় এই ক্রীড়াবিদ জানান আরও বড় কিছু চেয়েছিলেন তিনি, 'এবার দেশের হয়ে প্রথম পদক জেতায় আমি খুশি। কিন্তু ফাইনালে যেতে পারলে ভালো লাগত। কাল কুমিতি ইভেন্টে আরও ভাল কিছু এনে দিতে চেষ্টা করব।'
পরে ছেলেদের এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতেন হাসান খান। ২০১০ সালের এসএ গেমসে এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সর্বোচ্চটা দিতে না পারায় হতাশ করেন হাসান।
এবার সর্বোচ্চ পদক জয়ের আশা নিয়ে নেপাল গিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। বাংলাদেশ এবার পাঠিয়েছে ৫৯৫ সদস্যের বিশাল বহর। এদের মধ্যে ক্রীড়াবিদ ৪৬২ জন এবং কর্মকর্তা ১৩৩ জন। একটি ডিসিপ্লিন (ট্রাইলথন) বাদে বাকি সবকটিতে অংশ নিচ্ছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
তিন বছর আগে ভারতের গৌহাটি ও শিলংয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এসএ গেমসে হতাশ করেছিল বাংলাদেশ। অংশগ্রহণকারী আট দলের (তখন আফগানিস্তানও সাউথ এশিয়ান অলিম্পিক কমিটির সদস্য ছিল) মধ্যে তারা হয়েছিল পঞ্চম। বাংলাদেশ সবমিলিয়ে ৭৫টি পদক জিতলেও স্বর্ণ ছিল মাত্র চারটি। এবারে সেই ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে দারুণ কিছু করার প্রত্যয় বাংলাদেশের।
ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেট ফেরায় এবার এই দুই ইভেন্ট থেকেই স্বর্ণ আশা করছে বাংলাদেশ। ভারত অংশ না নেওয়ায় ফুটবলের স্বর্ণ পেতেও ফেভারিট বাংলাদেশ।
Comments