নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হলেও বিমানের সঙ্কট কাটছে না

biman logo

পুরনো উড়োজাহাজের বহর নিয়েও ২০০৬-০৭ সালে ৩২ শতাংশেরও বেশি বাংলাদেশি এবং আন্তর্জাতিক যাত্রী বহন করেছিলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বর্তমানে সরকারি সংস্থাটির বহরে আধুনিক উড়োজাহাজ থাকা সত্ত্বেও এর যাত্রী বহনের হার নেমে এসেছে প্রায় ২৭ শতাংশে।

উড়োজাহাজ বিশেষজ্ঞ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তারা জানান, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, উড্ডয়নে বিলম্ব, কিছু রুটে ফ্লাইট স্থগিত এবং দূরদর্শী ব্যবসায়িক কৌশলের অভাবে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি আন্তর্জাতিক যাত্রীদের হারাচ্ছে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার কারণেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিমানকে। যদিও এক দশক আগের তুলনায় বর্তমানে বিমান দ্বিগুণ যাত্রী পরিবহণ করছে।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন ও বিক্রয়) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, যাত্রী সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বিমান তার ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়েছে। কিন্তু উড়োজাহাজ সঙ্কটের কারণে রুটের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি। ফলে এর যাত্রী সংখ্যাও কমে এসেছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত এয়ারলাইন্সের সংখ্যাও বেড়ে গেছে।

তিনি জানিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ২৭ শতাংশ বহন করে বিমান, যা ঢাকা থেকে পরিচালিত অন্য যেকোনো এয়ারলাইন্সের মধ্যে সর্বোচ্চ।

২০০৬-০৭ সালে ৩৩ লাখ ১ হাজার বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীর মধ্যে ১১ লাখ ৯ হাজার যাত্রী বহন করে বিমান। ২০০৭ সালে সংস্থাটিতে তিন ধরণের- চারটি ডিসি১০-৩০এস, চারটি এফ-২৮এস এবং তিনটি এ৩১০-৩০০এস উড়োজাহাজ ছিলো।

যদিও ২০১৮-১৯ সালে মোট ৭০ লাখ ১৩ হাজার বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীর মধ্যে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার যাত্রী বহন করে বিমান। বাকিদের বিদেশি ২৬টি এবং অন্যান্য স্থানীয় এয়ারলাইন্স বহন করে বলে জানিয়েছেন বিমানের কর্মকর্তারা।

উড়োজাহাজ শিল্পের প্রবণতা অনুসারে, বিমানকে দেশের এবং অন্যান্য সব যাত্রীদের ৫৫ থেকে ৬৫ শতাংশ বহন করা উচিত ছিলো।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এই দুরবস্থার প্রভাব পড়েছে দেশের শেয়ার বাজারেও। ২০০২ সালে সংস্থাটির শেয়ার ৪৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ থেকে কমে ২০০৭ সালে ৩২ দশমিক ৪৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে

Comments

The Daily Star  | English

Power grid failure causes outage across 21 districts

According to the Power Grid Bangladesh PLC, the situation has since returned to normal

8h ago